প্রবাস-প্রজন্মকে বাংলার সৌন্দর্য জানাতে নিউ ইয়র্কে চিত্রপ্রদর্শনী

বাংলাদেশের হৃদয় দোলানো মনোরম পরিবেশ-প্রকৃতির সাথে প্রবাস প্রজন্মকে পরিচিত রাখার অভিপ্রায়ে নিউ ইয়র্কে চলছে ১৫ দিনব্যাপী ‘একক চিত্র প্রদর্শনী।’

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Nov 2018, 04:51 PM
Updated : 11 Nov 2018, 04:51 PM

শিল্পী ইসমাইল চৌধুরীর এ প্রদর্শনী ১ নভেম্বর থেকে শুরু হলেও এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা শনিবার সন্ধ্যায়।

জ্যাকসন হাইটসে কিং প্লাজায় ‘হৃদম অব নেচার’ তথা ‘প্রকৃতির সৌন্দর্য্য’ শীর্ষক এ প্রদর্শনীতে প্রতিদিনই বিপুলসংখ্যক প্রবাসীর সমাগম ঘটছে। নতুন প্রজন্মের উপস্থিতিও ছিল লক্ষ্যণীয়।

বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে ফিতা কেটে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন নিউ ইয়র্কে বাংলা সংস্কৃতির অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ও রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর মো. আনোয়ার হোসেন।

এসময় প্রদত্ত সংক্ষিপ্ত এক বক্তব্যে আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য শিল্পী ইসমাইল চৌধুরীর তুলিতে অসাধারণ রূপে উপস্থাপিত হয়েছে। ভিন্ন পরিবেশে জন্মগ্রহণকারী অথবা বেড়ে উঠা আমাদের সন্তানেরা এসব দেখে মা-বাবার দেশ সম্পর্কে নির্মল আনন্দদায়ক একটি ধারণা পাচ্ছে। মাঝেমধ্যেই এমন প্রদর্শনী হওয়া উচিত বিভিন্ন দেশে।’

চট্টগ্রাম চারুকলা কলেজ থেকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের পর ইসমাইল চৌধুরী জাপানে গিয়ে পেইন্টিং-এ গ্রাজুয়েশন করেন টকোহা গাকোয়েন ইউনিভার্সিটি থেকে।

তারও আগে ২০০২ সালে ঢাকায় তার একক চিত্র প্রদর্শনী হয় ন্যাশনাল মিউজিয়ামে। আর এবারের এটি হচ্ছে তার একক ৩৮তম চিত্র প্রদর্শনী।

২০১৫ সালেও এই শিল্পীর আরেকটি প্রদর্শনী হয়েছে নিউ ইয়র্ক সিটির কুইন্স লাইব্রেরীতে।

‘প্রকৃতির সৌন্দর্য’ শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনীতে প্রবাসীরা।

চাঁদপুরের সন্তান ইসমাইল চৌধুরী বলেন, “অর্থের জন্যে আমি প্রদর্শনীর আয়োজন করি না। আমার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রবাসের বাঙালি প্রজন্মকে বাংলার অপার সৌন্দর্যমণ্ডিত প্রকৃতির সাথে পরিচিত করা।”

ইসমাইল চৌধুরী বলেন, “জাপানে আমার একটি আর্ট গ্যালারি রয়েছে। সেখানে নিয়মিত প্রদর্শনী হয়ে থাকে। ফুকুরই সিটি মেয়র হিদিওকি হারাডোর সহায়তায় ২০১৭ সালে সেই গ্যালারি স্থাপনে সক্ষম হয়েছি। আরেকটি গ্যালারি রয়েছে কাঠমুণ্ডুতে। তবে সেটি আমার এককভাবে নয়।”

ইসমাইল বলেন, “জাপানিরাও প্রকৃতিকে খুব ভালবাসেন। আমি আমার শিল্পকর্মের মাধ্যমে জাপান ও বাংলাদেশের প্রকৃতির তুলনামূলক একটি অবস্থান উপস্থাপনের চেষ্টা করে আসছি। ইতিমধ্যেই বোদ্ধা জাপানিরা লুফে নিয়েছেন আমার চিত্রকর্মগুলো।”

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রবাস প্রজন্মের পক্ষে বক্তব্য রাখে লুবনা চৌধুরী।

তিনি বলেন, “নানাবিধ কারণে যারা মা-বাবার দেশে যেতে পারছে না, তাদের কাছে বাংলাদেশকে চমৎকারভাবে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে এটি একটি বড় অবলম্বন বলেই মনে করছি।”

১৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এই প্রদর্শনী এবং এজন্যে কোন প্রবেশ পত্রের প্রয়োজন হয় না।

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!