স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কন্সুলেট মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ উন্নয়ন মেলা’য় বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মেলাটি যৌথভাবে জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশন ও নিউ ইয়র্ক কন্স্যুলেট জেনারেলের অফিস আয়োজন করে।
জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি ফেকিটেমোয়েলা কাটোয়া বলেন, “বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণতাপূর্ণ নেতৃত্বে সমগ্র জনগোষ্ঠী আজ ঐক্যবদ্ধ। বাংলাদেশ রূপান্তরিত হয়েছে উন্নয়নের এক মহাকাব্যে, যা আমাদের শেখাচ্ছে, লক্ষ্য অর্জনে দৃঢ় অঙ্গীকার, জাতীয় নেতৃত্বে বলিষ্ঠতা এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সমগ্র জনগোষ্ঠিকে উজ্জ্বীবিত করা।”
তিনি বলেন, “উন্নয়নের এ অবিশ্বাস্য ধারা অব্যাহত রাখতে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্থিতির বিকল্প নেই। দীর্ঘমেয়াদী ও টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে রাজনৈতিক স্থিতি। এ ব্যাপারে সকলকে আন্তরিকতার সাথে সজাগ থাকতে হবে।”
অনুষ্ঠানে ভারতীয় কন্সাল জেনারেল ও রাষ্ট্রদূত সন্দ্বীপ চক্রবর্তী বলেন, “বড় ধরনের প্রকল্প গ্রহণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে ওঠেনি। এটা সম্ভব হয়েছে উন্নয়ন পরিক্রমায় সমগ্র জনগোষ্ঠিকে উদ্বুদ্ধ করার মধ্য দিয়ে। জনগণকে ক্ষমতায়িত করা, নারী ক্ষমতায়ন, শিক্ষা-স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি ইত্যাদির মধ্য দিয়ে। আমি মনে করছি, বাংলাদেশের উন্নয়নের এই ধারাক্রম গোটাবিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।”
অনুষ্ঠান শুরু হয় ‘অদম্য বাংলাদেশ’ শিরোনামে ভিডিওচিত্র দেখানোর মধ্য দিয়ে। এরপর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি নৃত্য পরিবেশন করেন ‘নৃত্যাঞ্জলি’ এর শিল্পীরা। এরপর আবারো ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ শীর্ষক আরেকটি প্রামাণ্য চিত্র দেখানো হয়।
স্বাগত বক্তব্যে কন্সাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা বাংলাদেশের এগিয়ে চলার নেপথ্য কিছু তথ্য উপস্থাপন করেন।
তিনি বলেন, “সীমিত সম্পদ নিয়ে জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতাপূর্ণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ দীপ্ত প্রত্যয়ে এগিয়ে চলছে। আর সবকিছুই সম্ভব হচ্ছে শান্তি ও সম্প্রীতির স্লোগানে সকলে উজ্জীবিত হওয়ায়।”
বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি জীবনমানের উন্নয়নের বিবরণ উপস্থাপন করেন ইউএনডিপির মানব-উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক সেলিম জাহান।
নিউইয়র্কে শ্রীচিন্ময় সেন্টারের শিল্পীরা বাংলা গান পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে ‘নৃত্যাঞ্জলি’র ‘জয় বাংলা-বাংলার জয়’ নৃত্যানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |