এ প্রবাসীর নাম মোহাম্মদ ইলিয়াস খান (৪০), বাড়ি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার চাঁদশ্রী গ্রামে।
তিনি বলেন, “আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে পাঁচটি সুপার মার্কেট, রেস্তোরাঁ ও পার্টি হল। সবকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দেড় শতাধিক কর্মচারীর অধিকাংশই বাংলাদেশি। নিজ গ্রামের পাড়া-প্রতিবেশীকেও সম্পৃক্ত করতে ভুলিনি।
“২২ বছর আগে আনন্দমোহন কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলাম। তারপর ব্যবসা শুরু করি। এক বস্তা চিনি, কিছু শাক-সবজি আর মাছের পসরা সাজিয়ে শুরু হয়েছিলো কাওরান বাজার সুপার মার্কেট। এখন ট্রাক ভরে চিনি, চাল, ডাল, মাছ-শাক-সবজি আসছে।”
নিজ ব্যবসার প্রসার সম্পর্কে ইলিয়াস বলেন, “বাংলাদেশ থেকে প্রতি মাসে ১৫-২০টি কন্টেইনারে ফ্রোজেন ফিশসহ বহু রকমের শুকনো খাদ্য আমদানি করে ‘সাভার সি ফুড’ এর ব্যানারে পুরো যুক্তরাষ্ট্রে বাজারজাত করছি। নিজস্ব ব্র্যান্ডের অন্যতম হচ্ছে কালিজিরা, ক্যাটারিভোগ ও মিনিক্যাট। এভাবেই কাওরান বাজারের আদলে গোটা বাংলাদেশটিই এখন বহুজাতিক এ দেশে পরিচিতি পাচ্ছে।”
নিজের সাফল্য নিয়ে ইলিয়াস বলেন, “১৯৯৪ সালের শেষ দিকে নিউ ইয়র্কে এসে লাগোয়ার্ডিয়া কমিউনিটি কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম। লেখাপড়ার খরচ জোগাতে বার্গার কিং-এ পার্টটাইম কাজ করেছি। এক পর্যায়ে ম্যানহাটানে জুইশ মালিকানাধীন এক বারে কাজ করতে হয়। সেখানেই ভাগ্যদেবতা হাতছানি দেয়। জুইশ মালিক স্টিভ ক্যাপলান আমার কাজে খুবই সন্তুষ্ট হন। সুপারমার্কেট চালুর সময়ে স্টিভ আমাকে নানাভাবে সহায়তা করেছেন।”
ভবিষ্যৎ স্বপ্ন সম্পর্কে ইলিয়াস জানান, স্বপ্ন বড় কিছু নয়। পাটেল ব্রাদার্সের চেয়েও বড় চেইন স্টোরের পরিচালক-অধিকর্তা হতে চাই ‘কাওরান বাজার’ ব্র্যান্ডের। পুরো যুক্তরাষ্ট্রে কাওরান বাজারের শাখা খুলতে চাই।
দুই ছেলে ও স্ত্রী নিয়ে প্রবাসী ব্যবসায়ী ইলিয়াস খানের পরিবার। মাঝে মাঝে বাংলাদেশে তার গ্রামের বাড়িতে যান তিনি, জড়িত আছেন নানা শিক্ষা-সাংস্কৃতিক ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |