যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশি প্রকৌশলী পারভেজ ইকবালকে ২৪ ফেব্রুয়ারি জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টা শহরের বাখহেড গ্র্যান্ড হায়াত হোটেল মিলনায়তনে ‘ইয়াং ইঞ্জিনিয়ার অব দ্য ইয়ার’ পদকে ভূষিত করা হয়।
অনুষ্ঠানে পাঁচ শরও বেশি পেশাদার প্রকৌশলী, রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, চিকিৎসক,সুধীসহ বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন।
পদকপ্রাপ্ত অন্যান্যদের মধ্যে জর্জিয়া পরিবহন প্রশাসনের প্রধান কমিশনার আলোচিত ব্যক্তিত্ব প্রকৌশলী রাসেল ম্যাকমারিকেও ওই একই অনুষ্ঠানে সম্মাননা পদক দেওয়া হয়। জাতীয় প্রকৌশল সপ্তাহ উদযাপনের ওই বর্ণাঢ্য বার্ষিক আয়োজনে গবেষক ও উদ্ভাবনী প্রকৌশলী, প্রকল্প প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন শিল্প কারখানার প্রকৌশলীরা যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়নে প্রকৌশলীদের ভুমিকার ওপর সারগর্ভ আলোচনা ও মতবিনিময়ে অংশ নেন।
তরুণ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার পারভেজ ইকবাল ২০০২ সালে পরিবারের সাথে বাংলাদেশ থেকে অভিবাসী হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন এবং জর্জিয়া ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শেষ করে ২০০৭ সাল থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।
তিনি জর্জিয়ার লাইসেন্সপ্রাপ্ত পেশাদার প্রকৌশলী হিসেবে বর্তমানে জর্জিয়ার অন্যতম বড় পরিবহন কোম্পানি এইচএনটিবিতে কাজ করছেন। যুক্তরাষ্ট্রে আসার আগে তিনি সিলেটের ব্লু বার্ড হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও এমসি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতিত্বের পাস করেন।
পদকপ্রাপ্ত পারভেজ প্রকৌশল পেশার পাশাপাশি আটলান্টার বিভিন্ন সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন।
তিনি প্রকৌশল সংগঠন আমেরিকান সোসাইটি অব হাইওয়ে ইঞ্জিনিয়ার্স’এর জর্জিয়া শাখার পরিচালক এবং জর্জিয়ার নেস্কট জেনারেশন অব ইঞ্জিনিয়ারিং টাস্ক ফোর্সের সাথেও নিজেকে যুক্ত রেখেছেন।
মূলধারার রাজনৈতিক দল ডিকাব কাউন্টির ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্যপদ লাভসহ বাংলাদেশি আমেরিকান ডেমোক্র্যাটসের ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করছেন তিনি।
এছাড়া বিগত ১০ বছর ধরে পারভেজ মিডিল স্কুলভিত্তিক জাতীয় প্রকৌশল বিষয়ক প্রতিযোগিতার সঞ্চালক ও বিচারক হিসেবে নিজেকে সক্রিয় রেখেছেন।
তার এই অসাধারণ সাফল্যের অনুভুতি জানতে চাইলে পারভেজ বিডিনিউজ টুয়েন্টি ফোরকেকে বলেন, “সবার আগে আমাদেরকে মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্যে সবচাইতে বেশি আত্মত্যাগ করেছেন যিনি, সেই মায়ের কাছে চির কৃতজ্ঞ। এছাড়া অভিবাসী হিসেবে আমাদের প্রতিটি সফলতার পাশে প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশের ঋণ স্বীকার করে সেই মাতৃভূমিকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে। এদেশে বেড়ে উঠা নতুন প্রজন্মকেও শেকড় চিনতে হবে, আর সেজন্যে এগিয়ে আসতে হবে ছোট বড় সবাইকেই”। পারভেজ প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে তার আগামীদিনের চলার পথে দোয়া কামনা করেন।
পরিবারের জ্যেষ্ঠ সন্তান পারভেজ তার মা জবেদা খাতুন, সহধর্মিণী মায়েশা চৌধুরী ও ছোট ভাই আসেফ ইকবালকে নিয়ে শ্যাম্বলী শহরে বাস করছেন। মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে মিস করলেও শ্বশুর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হারুন চৌধুরী একই শহর আটলান্টাতেই দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |