প্রতিবারের মতো এবারও তাই ইচ্ছে ছিলো কোথাও গিয়ে ঘুরে আসার। তাই হিসেব না করেই, সেদিন বেড়িয়ে পড়লাম বহু প্রতিক্ষিত আমিকোলাইলা ফলস্ দেখার জন্য।
প্রচণ্ড ঠান্ডা পড়ছিল সেদিন, তবুও বের হয়ে গেলাম দুপুর গড়িয়ে সাঁঝের বেলায় গিয়ে শেষ হলো আমাদের যাত্রাপথ। পথে যেতে যেতে যতটা সময় রোদ্দুর ছিলো পাহাড় আর প্রকৃতির ছবি বেশ ভালোই উঠলো।
কিন্তু যেই না নিজেরা ছবি তুলতে গেলাম চারপাশ আঁধার করে মেঘে ঢেকে গেলো, তবুও নিভু - নিভু সূর্যের আলোয় একআধটু ঝাপসা কিছু ছবি তুললাম।
বহু পুরোনো অ্যামিকোলালা লজ এ রাত্রি যাপন স্থির হলো আমাদের । হোটেল লবিতে বসে কফির কাপে চুমুক দিয়ে দেখতে পেলাম অদ্ভুত সুন্দর পাহাড়ের পর পাহাড় । সবকিছুতে যেনো আগুন রঙ লেগেছে, চারিদিকে হলদে - লালের ছড়াছড়ি।
প্রকাণ্ড গাঢ় নিঃশব্দতায় কাটানো একটা রাত, সাথে শোনা ঝিঁঝি পোকার ডাক, আমাকে যেনো কিছুটা আনমনে মনে করিয়ে দেয় আমাদের গ্রামের কথা।
এবার এতদিন ছিলাম তবুও কেনো যাওয়া হলো না, কেনো যে যাওয়া হয় না আমাদের ।
পরদিন সকাল থেকে তাপমাত্রা নেমে মাইনাসের নিচে, প্রচণ্ড বৃষ্টি শুরু হলো, কনকনে ঠান্ডা হিম শীতল বৃষ্টি।
এই বৃষ্টির ফোঁটার সাথে টুপটাপ করে ঝরে পরে পাতারা, শূন্য কঙ্কালের মতো দাঁড়িয়ে থাকে গাছেরা, আর ভাবে কবে আবার বসন্ত আসবে, কবে তাদের শূন্য শরীরে প্রাণ আসবে।
ঝরে পরা পাতার মর্মর ধ্বনিতে বেজে ওঠে বিদায়ের সুর।
আমাকে যেনো মনে করিয়ে দেয় সেই গান -
“ঝরা পাতা, ও ঝরা পাতা
তোমার সাথে আমার রাত পোহানো কথা
তোমার সাথে আমার দিন কাটানো কথা...”
লেখক: প্রবাসী বাংলাদেশি
ইমেইল: rifatnowrin@gmail.com
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |