নূরনবী ও মাহমুদুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা অবৈধভাবে অনলাইন ভিডিও এবং স্পোর্টস স্ট্রিমিং পরিষেবা চালিয়ে আসছিলেন।
Published : 21 Nov 2024, 09:05 PM
অবৈধভাবে অনলাইন ভিডিও ও স্পোর্টস স্ট্রিমিং সাইট পরিচালনার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে এক বাংলাদেশি গ্রেপ্তার হয়েছেন; তার ভাইকেও পুলিশ খুঁজছে।
মঙ্গলবার সকালে নূরনবী চৌধুরীকে (৫৬) গ্রেপ্তার করে নিউ ইয়র্কের ওয়েস্টার্ন ডিস্ট্রিক্টের ফেডারেল কোর্টে হাজির করা হয়। তার ভাই মাহমুদুর রহমানকে (৩৬) পলাতক দেখানো হয়েছে।
ওই দুজন কপিরাইট লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে অনলাইন স্ট্রিমিং পরিষেবা চালিয়ে আসছিলেন বলে ইউএস অ্যাটর্নি পিস জানিয়েছেন।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, নূরনবী ও মাহমুদুর আইপি টিভি ও ‘হাই ডেফিনেশন’ (এইচডি) টিভি বক্সের মাধ্যমে কপিরাইট কনটেন্ট, বিশেষ করে লাইভ স্পোর্টস প্রোগ্রামিং ও টেলিভিশন শো গ্রাহককে স্বল্পমূল্যে দেখার সুযোগ করে দিতেন। মাসিক ১০ ডলার ফিতে তারা কপিরাইট লঙ্ঘন করে লাইভ টেলিভিশন ও স্পোর্টস প্রোগ্রামিং দেখাতেন। এভাবে সাত বছরে তারা গ্রাহকের কাছ থেকে ৭ মিলিয়ন ডলার আদায় করেছেন।
তাদের অবৈধ কার্যক্রমের ফলে মূল প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। মামলায় মূল প্রতিষ্ঠানের ১০০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে গ্রাহকের তথ্য চুরিরও অভিযোগ আনা হয়েছে। অবৈধ ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগে দুই ভাইয়ের ব্যবহৃত ওয়েবসাইট ডোমেইনগুলো বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
মামলায় বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের মার্চ থেকে থেকে অবৈধভাবে স্ট্রিমিং সাইট চালিয়ে আসছেন। লন্ডন, কানাডা ও ঢাকায় ‘চোরাই অফিসের’ মাধ্যমে তারা এসব করছিলেন।
আইনজীবীরা বলছেন, তারা দোষী সাব্যস্ত হলে প্রত্যেকের সর্বোচ্চ ২৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। এর মধ্যে ডিজিটাল ট্রান্সমিশন পরিষেবা চালানোর জন্য তিন বছর, জালিয়াতি জন্য ২০ বছর আর একের পর এক চুরির জন্য দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। এফবিআইয়ের নিউ ইয়র্ক ফিল্ড অফিস, বাফেলো ফিল্ড অফিস এবং অটোয়া, হেগ ও লন্ডনে তাদের অফিসের সহায়তায় দুই ভাইয়ের অবৈধ কারবারের মামলার তদন্ত চলছে।
প্রিন্সিপাল ডেপুটি সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আর্জেন্টিয়েরি বলেন, আসামিরা তাদের ডিজিটাল স্ট্রিমিং স্কিম কপিরাইট লঙ্ঘন করেছেন। তারা মূল কপিরাইট লঙ্ঘনের পাশাপাশি ব্যাংক ও পেমেন্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও প্রতারণা করে আসছিলেন।