সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি তাহমিন আহমেদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে মতবিনিময় করেছে বাংলাদেশ আমেরিকান বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন অব মিশিগান (বাবাম) নেতারা।
সোমবার রাত মিশিগানের হ্যামট্রামিক শহরের একটি রেস্টুরেন্টে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন বাবামের সভাপতি মো.আহাদ, সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক গিয়াস তালুকদার।
চেম্বার সভাপতি তাহমিন আহমেদ বলেন, “সিলেটের ব্যবসা সমৃদ্ধ করতে চেম্বারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ২০টি দাবি পেশ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সিলেট এমএজি ওসমানী বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ঢাকা-সিলেট রোড ৬ লেনে উন্নতিকরন, বিদেশে সবজি জাতীয় পণ্য রপ্তানির জন্য ওয়্যার হাউস স্থাপন, বিমানের ভাড়া কমানোসহ অনেক বিষয়ে দাবি উপস্থাপন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি একনেকে উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা করছি পর্যায়ক্রমে সবগুলোই অনুমোদন পেয়ে যাবে।”
সম্প্রতি ৭ ব্রিটিশ-বাংলাদেশি দেশে গ্রেপ্তার ও জামিন না হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি মনে করি উনারা যদিও প্রবাসে থাকেন, কিন্তু উনারা হয়ত এনভিআর ভিসা নিয়ে দেশে বিনিয়োগ করেছেন। এজন্য আইনগত জটিলতায় পড়েছেন। আশা করছি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি আন্তরিকভাবে সমাধানের ব্যবস্থা করবেন। আপনাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে যারা দেশে বিনিয়োগ করতে চান তাদের উচিত এনভিআর অর্থাৎ নো ভিসা রিকোয়ার্ড না নেওয়ার জন্য। যদি বিনিয়োগ করার ইচ্ছা থাকে তাহলে সরাসরি ভিসা নিয়ে দেশে বিনিয়োগ করবেন, তাহলে আর আইনত জটিলতা পোহাতে হবে না।”
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মিশিগানে স্থায়ী কনস্যুলেট অফিস স্থাপনে ব্যবসায়ীদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে তাহমিন আহমেদ বলেন, “আপনাদের এ ন্যায্য দাবির বিষয়ে পরাষ্টমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব। আশা করি তিনি এই দাবির বাস্তবায়ন করবেন।”
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন নিজাম উদ্দিন, মোহাম্মদ জামান, মইনুল হক, আহবাব আহমেদ শামীম, সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট লয়েছ উদ্দিন, মিশিগান স্টেট আওয়ামী লীগ সভাপতি ফারুক আহমেদ চান, মুহিত মাহমুদ, বকুল তালুকদার, হেলাল খান, জুবারুল ইসলাম খোকন ও কাজী এবাদ।