“একদিকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিজিবি সদস্য ও জনগণকে হত্যা করা হচ্ছে; আবার পূর্ব দিক থেকে মিয়ানমারের গুলিতে এ পর্যন্ত দুজন নিহত, কয়েকজন আহত হয়েছে”, বলেন তিনি।
Published : 07 Feb 2024, 04:18 PM
বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে গুলির সঙ্গে এখন পূর্ব দিক থেকেও গুলি আসছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
এই পরিস্থিতিকে ‘ক্রসফায়ারের’ সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেছেন, “একদিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রতিনিয়ত গুলিবর্ষণের মাধ্যমে আমাদের বিজিবি সদস্য ও জনগণকে হত্যা করা হচ্ছে। আবার পূর্বদিক থেকে মিয়ানমারের গুলিতে আমাদের দেশের এ পর্যন্ত দুজন নিহত, কয়েকজন আহত হয়েছে।
“ঝাঁকে ঝাঁকে রাখাইন থেকে সেনা আশ্রয় নিচ্ছে। বলতে গেলে বাংলাদেশ আজকে ক্রসফায়ারের মুখে।”
রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছিলেন গয়েশ্বর।
তিনি বলেন, “এটা নিয়ে শুধু আমাদের ভাবনা নয়, আপনাদেরও ভাবতে হবে যে। কী ঘটতে যাচ্ছে, এর অন্তরালে কী আছে, এর সঙ্গে সরকারের কোনো গোপন সম্পর্ক আছে কিনা। জনগণের দৃষ্টি অন্যত্র ফেরাতে সরকার ইতোপূর্বেও একের পর এক ইস্যু তৈরি করেছে।
“যদি সম্পর্ক না থাকে নিশ্চয়ই সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং জনগণের কাছে দৃশ্যমান করবে। মিয়ানমারের মত দেশ বাংলাদেশে গুলি ছোড়ে; এই শক্তি-সাহস ইতিপূর্বে কোনোদিন পায়নি, আজকে কেন পায়, এটা নিয়ে আপনারা সবাই ভাবেন।”
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইনে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির যুদ্ধ চলছে গত কয়েকদিন ধরে। বিদ্রোহীরা বিজিপির কয়েকটি ফাঁড়ি দখল করে নিলে রোববার সকালে পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির ১৪ সদস্য। সেই সংখ্যা বাড়তে বাড়তে বুধবার ৩২৭ জনে পৌঁছেছে। মিয়ানমারের দিক থেকে আসা গুলিতে নারীসহ দুজনের প্রাণ গেছে।
বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানানোর কথা তুলে ধরে গয়েশ্বর বলেন, “যদি ষড়যন্ত্র থাকে, অথবা ষড়যন্ত্র যদি নাও থাকে, আমরা যেভাবে চারদিক থেকে আক্রান্ত হচ্ছি, এর থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।”
দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা, নিত্যপণ্যের দাম ও মূল্যস্ফীতি নিয়েও সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন এ বিএনপি নেতা।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আবদুল আউয়াল মিন্টু, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবুল খায়ের ভুঁইয়া, অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, অধ্যাপক শাহিদা রফিক, অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক তাজমেরী এসএ ইসলাম, অধ্যাপক মামুন আহমেদ, বিজন কান্তি সরকার, তাহসিনা রুশদীর লুনা, মইনুল ইসলাম খান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, হারুনুর রশীদ, কেন্দ্রীয় নেতা মাসুকুর রহমান মাশুক ও সেলিম রেজা হাবিব, রিয়াজ উদ্দিন নসু সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।