“এই অচল সরকারকে একদম মাটিতে বসিয়ে দেওয়ার জন্য যার যা আছে প্রস্তুতি নিন,” বলেন তিনি।
Published : 20 Jan 2024, 03:39 PM
বিএনপি নেতাকর্মীদের ‘ডু অর ডাই’ আন্দোলনের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে বলেছেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
বৃহস্পতিবার সিলেট অভিমুখে রোড মার্চ শুরুর আগে ভৈরব বাসস্ট্যান্ডে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এই আহ্বান জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা।
গয়েশ্বর বলেন, “এই অচল সরকারকে একদম মাটিতে বসিয়ে দেওয়ার জন্য যার যা আছে প্রস্তুতি নিন।… আপনারা সবাই প্রস্তুত থাকেন যে কোনো আন্দোলনের জন্য। ডু অর ডাই। হয় মরব, লড়ব; গণতন্ত্র দেশের মানুষের হাতে ফেরত দেব।”
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আবারও তুলে ধরে এই বিএনপি নেতা বলেন, “শেখ হাসিনাকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। তিনি যদি মনে করেন ভিন্ন কিছু, জনগণ তা মেনে নেবে না।
“সরকারকে বলব, এখনো সময় আছে ক্ষমতা ছেড়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা ছেড়ে দিন। জনগণ এখন রাজপথে নেমেছে, পদত্যাগ ছাড়া তারা রাজপথ ছাড়বে না।”
সরকার পদত্যাগের ‘এক দফা’ দাবিতে সকাল ৯টায় কিশোরগঞ্জের ভৈরব বাসস্ট্যান্ড থেকে এই রোডমার্চ শুরু হয়। অর্ধশতাধিক গাড়ি নিয়ে নেতা-কর্মীরা সিলেট অভিমুখে রওনা হন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার হয়ে সিলেটে আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে সমাবেশের মধ্য দিয়ে রোড মার্চ শেষ হবে।
এক দফা আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি হিসেবে বিএনপি পাঁচ বিভাগে যে রোড মার্চ করার ঘোষণা দিয়েছে, এটি তার প্রথম।
ভৈরব বাসস্ট্যান্ডে সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “২৭টি দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল বাংলাদেশের নির্বাচন সামনে রেখে। সেই প্রতিনিধি দল তার রিপোর্ট গতকাল পেশ করেছে। সেই রিপোর্টে বলেছে যে, বাংলাদেশে নির্বাচনের পরিবেশ নাই। কোনো গণতান্ত্রিক দেশ এই সরকারের সাথে নাই।
“মুক্তিযুদ্ধের পরে এটা সবচেয়ে বড় গণসংগ্রাম।এই সংগ্রামে জয়ী হতে হবে। এই সংগ্রাম বিএনপির একার নয়, এই সংগ্রাম বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের সংগ্রাম।বাংলাদেশের মানুষ যখন সিদ্ধান্ত নেয়, তারা কখনো পরাজিত হয় না। এবারও হবে না।”
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, “ঢাকার একজন মেয়র আছেন, কীভাবে জিতেছে? ভোট চুরি করে মেয়র হয়েছেন। উনি বলেছেন, আমাদের মহাসচিবকে ঢাকায় ঢুকতে দেবেন না।”
“কী ভেবেছেন? এটা ১৬ কোটি মানুষের দেশ, পিপলস রিপাবলিক। এটা কারো নানা-বাবা‘র সম্পত্তির দেশ নয়। বেশি লাফালাফি করবেন না। আপনাদের সাহস যেখানে শেষ, সেখানে আমাদের শুরু। কথা সাবধানে বলবেন।”
বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলের ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ফজলুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানি ছাত্র দলের রাশেদ ইকবাল খানসহ স্থানীয় নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)