জাহাঙ্গীরের মাকে ‘ঠেকানোর’ চিন্তা নেই আওয়ামী লীগের

নিজের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার পর গৃহিনী মা জায়েদাকে নিয়ে এখন ভোটের মাঠ সাজাচ্ছেন জাহাঙ্গীর আলম। ক্ষমতাসীন দলের এই বিভক্তিতে আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী রনি সরকারের সুবিধা হবে কি না, চলছে সেই সমীকরণ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 May 2023, 10:33 AM
Updated : 10 May 2023, 10:33 AM

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুনকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে কোনো উদ্যোগ আওয়ামী লীগ নেবে না বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, কেউ নির্বাচনে অংশ নিলে তাকে বিরত রাখার চেষ্টা নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন।

বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক কর্মশালা শেষ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের।

কর্মশালাটি বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে হলেও সাংবাদিকরা ক্ষমতাসীন দলের নেতার কাছে প্রশ্ন রাখেন রাজনীতি নিয়ে। একটি প্রশ্ন ছিল, জাহাঙ্গীর আলম তার মাকে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারে নেমেছেন, তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে?

জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, “সে (জাহাঙ্গীর) আওয়ামী লীগ করত, আওয়ামী লীগে ছিল, আওয়ামী লীগ থেকে মেয়র হয়েছিল। কিন্তু তার মা তো কখনও প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ করেছে বলে আমাদের জানা নেই। কাজেই তাকে তো আমরা, বিরত রাখার কোনো বিষয় নয়। কাজেই এটা নির্বাচন কমিশনের যে আচরণ, আচরণেরও বিরুদ্ধে এটা।”

আগামী ২৫ মে হতে যাওয়া এই নির্বাচনে ফিরে এসেছে ২০১৩ সালের স্মৃতি। মহানগরে শক্তিশালী অবস্থান থাকলেও দলে বিভক্তিসহ নানা কারণে সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আজমত উল্লা খান হেরে গিয়েছিলেন এক লাখের বেশি ভোটে।

সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন চেয়েছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। তাকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য দলের অনুরোধ গায়ে মাখেননি। পরে নিখোঁজ হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পর আজমত উল্লার প্রচারে অংশ নেন। কাঁদতে কাঁদতে ঘোষণা করেন সমর্থন।

তবে ভোটের পর জাহাঙ্গীর বলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী বাছাইয়ে ভুল করেছিল। আর তার সমর্থকরাও আজমতের পক্ষে কাজ করেননি বলেই সে সময় খবর প্রকাশ হয়েছিল।

এবারও আওয়ামী লীগ প্রার্থী করেছে আজমতকে। ২০১৮ সালে নৌকা পেয়ে বিএনপিকে দুই লাখের বেশি ভোটে হারানো জাহাঙ্গীর হয়েছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। তবে একটি কোম্পানির খেলাপি ঋণের জামিনদার হওয়ার কারণে টেকেনি প্রার্থিতা। তার আগেই মা জায়েদা খাতুনের নামে আরও একটি মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।

গৃহিনী মা জায়েদাকে নিয়ে এখন ভোটের মাঠ সাজাচ্ছেন জাহাঙ্গীর, মহানগরে যার বেশ জনপ্রিয়তা আছে বলে ধারণা করা হয়।

আওয়ামী লীগে এই বিভক্তির মধ্যে বিএনপির প্রার্থী নেই। তবে দলটির গতবারের প্রার্থী হাসানউদ্দিন সরকারের ভাতিজা সরকার শাহ নূর ইসলাম রনি হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা তার পাশে আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Also Read: ‘টেবিল ঘড়ি’ নিয়ে সামনে মা জায়েদা, পেছনে জাহাঙ্গীর