নির্বাচনে অংশ নিয়েই ইসির পরীক্ষা নিন: আলমগীর

ইসির প্রতি বিএনপির অনাস্থা আছে, এমন কিছু দেখছেন না এই নির্বাচন কমিশনার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 April 2023, 01:05 PM
Updated : 25 April 2023, 01:05 PM

বিএনপি এবং এর মিত্র দলগুলোতে ভোটে অংশ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের পরীক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

তিনি বলেছেন, “আপনারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন, আমাদের পরীক্ষা নিন। আপনারা তো আমাদের পরীক্ষাই নিচ্ছেন না। পরীক্ষা না নিয়েই আমরা যে অকৃতকার্য হলাম, কীভাবে আপনারা বুঝলেন? আমরা পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত সব সময়।”

মঙ্গলবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন নির্বাচন কমিশনার আলমগীর।

নির্দলীয় সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনরত বিএনপি আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও অংশ নিচ্ছে না। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ডাকে কোনো সংলাপেও তারা যায়নি।

বিএনপির সাড়া এখনও না পেলেও একে নির্বাচন কমিশনারের ব্যর্থতা মানতে নারাজ আলমগীর। সিটি নির্বাচনে না আসা বিএনপির কোনো কৌশল হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।

তিনি বলেন, “বড় দলগুলো তো আসছে। বিএনপি আসেনি, এটা তো তাদের রাজনৈতিক কৌশল। এটা তো আমাদের ব্যর্থতা না। তারা কি বলেছে, নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ নির্বাচন করেছে- এজন্য আসব না?

“আমাদের বলেনি যে নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা থাকায় আমরা নির্বাচনে অংশ নেব না। তারা তো বলে নাই কখনও।”

বিএনপি নির্বাচনে না এলে তা ‘অংশগ্রহণমূলক’ হবে না বলে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালও স্বীকার করছেন। তিনি বলেছেন, দলটিকে নির্বাচনে আনতে ইসি আহ্বান জানিয়ে যাবে।

Also Read: নির্বাচনকালে সরকারে আওয়ামী লীগ থাকলে ভোট নয়: ফখরুল

Also Read: সরকারে যেই থাক, ভোট হবে নিরপেক্ষ: ‘গ্যারান্টি’ আলমগীরের

‘আচরণবিধি’ প্রতীক বরাদ্দের পর

নির্বাচন কমিশনার আলমগীর জানান, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পর আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হয়। সেদিন থেকে আচরণবিধি না মানলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাঁচ সিটিতে নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইচ্ছুকরা ইতোমধ্যে নানাভাবে প্রচারে নেমে পড়েছেন।

তা নিয়ে প্রশ্নে আলমগীর বলেন, “বার্তা হল- যারা দোয়া চেয়েছেন, তারা অনেকে প্রার্থীই না। কিসের দোয়া চেয়েছেন, সেটা তো লেখা নেই। যারা নমিনেশন নেবেন এবং জমা দেবেন, তারপর বোঝা যাবে।

“তার আগে এখন যেটা করছে আমাদের কর্মকর্তারা- সেটা অনেকটা মোটিভেশনাল। আমাদের আইনে আছে যে শোডাউন করা যাবে না। কিন্তু আমাদের কালচারটা হলো শোডাউনের। একটা কালচার তো একদিনে পরিবর্তন হয় না।”

সিটি নির্বাচন সামনে রেখে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনাররা মাঠে বৈঠক করবেন। তখন প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে জানিয়ে আলমগীর বলেন, “প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে কর্মকর্মারা মাঠে নেবে যাবে। এখন মোটিভেশনাল ওয়ার্ক করা হচ্ছে, তখন মাঠে নেমে যাবে।”

তিনি জানান, প্রার্থীরা মাঠে ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করতে পারবেন। তবে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে প্রচার চালাতে পারবেন না।

“শোডাউন করলে প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে এবং এমনও হতে পারে যে শোডাউনের বিষয়টি যদি কোনো প্রচারমাধ্যমে আসে … নির্বাচন কমিশনের তো একটা ক্ষমতা আছে।”

এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, “প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীদের সঙ্গে মিটিং হবে। এবার আমরা যেটা চিন্তা করছি, প্রতীক বরাদ্দের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মিটিং করে ফেলব, যাতে প্রার্থীরা আচরণবিধি ভঙ্গ করতে না পারেন।”