“আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত,” বলেন তিনি।
Published : 24 Jan 2024, 11:22 AM
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে অত্যন্ত 'উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে'; নির্বিঘ্নে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ‘সঙ্গে আছে’।
দুই দেশের এই সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আরও ‘জোরদার ও মজবুত করতে চান' বলেও জানিয়েছেন মোমেন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে অংশ নিতে নিউ ইয়র্কে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৈনন্দিন কর্মসূচি নিয়ে সোমবার সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সময় এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
যারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়, তাদের জন্যই যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে মন্তব্য করে মোমেন বলেন, “এটা আমাদের জন্য ভালো, কারণ আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত। আমরা চাই এখানে কেউ যেন ভোট বিঘ্নিত করতে না পারে এবং সহিংসতা করতে না পারে। সুতরাং, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সাথে কাজ করছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে খুব নিবিড়ভাবে কাজ করছি।"
একজন বন্ধু অন্য বন্ধুকে ‘পরামর্শ দিতেই পারে’ মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) অনেকগুলো পরামর্শ গ্রহণ করেছি। যদি পরামর্শটি বাস্তবসম্মত হয় তবে আমরা অবশ্যই সেটি গ্রহণ করব।”
আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠ করতে সরকার দৃঢ় প্রত্যয়ী বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অহিংস নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বিশেষে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা প্রদর্শন করতে হবে। ইনশাআল্লাহ, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারব।"
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে দৃষ্টান্ত স্থাপনের লক্ষ্য নিয়ে সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে এগুচ্ছে।
তার ভাষ্য, নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনকে ‘নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব’ দেওয়া হয়েছে।
"ভোট কারচুপি হলে ইসি কোনো ভোটকেন্দ্রের ভোট বাতিলও করতে পারে। কোনো সরকারি কর্মচারী অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকলে ইসি তাকে সাময়িক বরখাস্ত বা শাস্তি দিতে পারে।”
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)