“কই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময় তো এটা করতে পারেনি। কই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সময় তো এটা করতে পারেনি”, বলেন তিনি।
Published : 05 Feb 2024, 06:37 PM
মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলে বাংলাদেশি নিহত হওয়াসহ সীমান্তের সাম্প্রতিক ঘটনার পরও সরকার ‘নিশ্চুপ’ ভুমিকায় আছে বলে মনে করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সরকারের ‘নতজানু’ নীতির কারণেই আজকে আমাদের সীমান্তে ভয়ঙ্কর অবস্থা।
“সেখানে রক্ত ঝরছে। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার অঙ্গীকার যে সরকারের মধ্যে থাকে না, সেই সরকারের শাসকদের সময়ে সেই দেশের সার্বভৌমত্ব দুর্বল হয়। দুর্বল বলেই আজকে তারা (মিয়ানমার সাহস পাচ্ছে।”
বিএনপি নেতা বলেন, “কই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময় তো এটা করতে পারেনি। কই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সময় তো এটা করতে পারেনি। তাদের সময়ে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে। প্রতি মুহূর্তে বিএনপির সময়ে যখন এই সমস্ত মোকাবিলা হয়েছে, তার তীব্র প্রতিবাদ করা হয়েছে।”
মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে সেনা সদস্যদের লড়াইয়ে বান্দরবান সীমান্তে বাংলাদেশি জনবসতিও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার জলপাইতলীতে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলে বাংলাদেশি এক নারী ও এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরো একাধিক বাংলাদেশি।
রিজভী বলেন, ‘‘এরকম ঘটনার পরও আপনারা দেখছেন এই সরকার প্রতিবাদ করতেও ভয় পায়। কারণ, সে নিজেই জনগণকে বন্দি করেছে রাষ্ট্রশক্তি দিয়ে। তার তো সেই ক্ষমতা নেই।
“তার জনসমর্থন নেই বলেই আজকে অন্য দেশের পক্ষ থেকে আমাদের সার্বভৌমত্ব যখন হুমকির সম্মুখীন, স্বাধীনতা যখন অরক্ষিত হয়ে পড়েছে, তখন তাদের কিছুই করার থাকে না। তারা জনগণকে জিম্মি করে অন্যের সেবা দাসত্ব করছে বলেই এই অবস্থা।”
প্রধানমন্ত্রীর কাছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের চিঠির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রিজভী বলেন, ‘‘রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের তো সম্পর্ক থাকতেই পারে। রাশিয়ার সঙ্গে কি পশ্চিমা বিশ্বের সম্পর্ক নাই? চীনের সঙ্গে কি যুক্তরাষ্ট্রের সস্পর্ক নাই? আছে।
“কিন্তু নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে- এ কথা তো তারা (যুক্তরাষ্ট্র) বলে নাই। গণতন্ত্রের প্রশ্নে কমিটমেন্টের জায়গা থেকে তো পশ্চিমা দেশের জনগণ তথা গণতান্ত্রিক বিশ্বের সরকার সরে আসেনি। কয়েকদিন আগেও যুক্তরাষ্ট্রের স্টেইট ডিপার্টমেন্ট একতরফা নির্বাচনের বিরুদ্ধে তাদের বক্তব্য দিয়েছে। জাতিসংঘ হরহামেশা এই নির্বাচনের বিরোধিতা করে আসছে।”
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক ও আব্দুল কুদ্দুসও উপস্থিত ছিলেন।