“মানুষকে রক্ষা করতে হলে যারা গায়ের জোরে ১৪ বছর যাবত ক্ষমতায় আছে, ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় আছে তাদেরকে বাংলাদেশের ক্ষমতা থেকে বিদায় করতে হবে।”
Published : 25 Dec 2022, 02:51 PM
দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ও বিচারব্যবস্থা থেকে শুরু করে সবকিছু ‘ধ্বংস’ হয়ে গেছে দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, এ ‘সংকট কাটাতে’ হলে সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, সারাদেশে মানুষের আজকে ‘মনের কথা’ হচ্ছে- গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা, অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার।
“রাজনীতি-সামাজিক অর্থনীতি ও বিচার ব্যবস্থা সবকিছু আজকে ধ্বংস হয়ে গেছে। এর থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে; মানুষকে রক্ষা করতে হলে যারা গায়ের জোরে ১৪ বছর যাবত ক্ষমতায় আছে, ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় আছে তাদেরকে বাংলাদেশের ক্ষমতা থেকে বিদায় করতে হবে। সেই লক্ষ্যে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। তা না হলে আমরা যে সংকটে আছি তা থেকে মুক্ত হতে পারবো না।”
বিএনপির ১০ দফা দাবির কথা তুলে ধরে মোশাররফ বলেন, “সারা দোশের জনগণের বার্তাকে আমরা একত্রিত করে ১০ দফা দাবি উত্থাপন করেছি। এই সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ইত্যাদি। এই ১০ দফার একটাই উদ্দেশ্য, এই সরকারের হাত থেকে দেশের মানুষকে উদ্ধার করা।”
মোশাররফ বলেন, “অনেকে প্রশ্ন করবেন- এরপরে পরিবর্তন কী হবে? আপনারা দেখেছেন সেজন্য আমরা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের জন্য ২৭ দফা প্রস্তাব জাতির সামনে উপস্থাপন করেছি।
“আপনারা দেখেছেন যে, এবার আমরা এবং জনগণ শুধু পরিবর্তনের জন্য পরিবর্তন নয়, আরেকটি সরকার এসে আবার এভাবে স্বৈরাচারী শাসন চালাবে তার জন্য নয়, যাতে করে এদেশের সকল মানুষের মত ও তাদের চেতনাকে ধারণ করে একটি সরকার গঠন হবে, যে সরকার দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে এবং দেশের সংকট ও ধ্বংসপ্রাপ্ত রাষ্ট্র কাঠামোকে মেরামত করবে।”
প্রয়াত সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজ) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন। গত বছর কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা যান রিয়াজ উদ্দিন।
বিএফইউজের সভাপতি এম আবদুল্লাহ, মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী, শওকত মাহমুদ, এম এ আজিজ, আবদুল হাই শিকদার, কামাল উদ্দিন সবুজ, বাকের হোসাইন, সৈয়দ আবদাল আবদাল আহমেদ, হাসান হাফিজ, কাজী রওনক হোসেন, মোদাব্বের হোসেন, বখতিয়ার রানা, নুর উদ্দিন আহমেদ, বাসির জামাল, রাশেদুল হক, ইউএনবির সম্পাদক ফরিদ হোসেন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রধান প্রতিবেদক মঞ্জরুল ইসলাম ও ইকনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশিদুল ইসলাম বক্তব্য দেন।