রিজভী বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার না ফেরানো পর্যন্ত রাজপেথে আন্দোলনে থাকব।“
Published : 09 Jan 2024, 10:13 AM
সরকার ‘একতরফা নির্বাচন’ করে জনগণকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তবে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ‘বর্জন করেছে’ বলেও জানান তিনি।
সরকারের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, “আমরা আর মামুরা’ মিলে সরকার একটা নির্বাচন করেছে। সেই নির্বাচনেও দেখা গেছে, ভোটকেন্দ্রে ভোটার নেই, কেন্দ্র শূন্য, নিজেরা নিজেরা সিল মারছে।
“এভাবে ভোট করে তারা জনগণকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে, তারা (সরকার) জনগণের ভোট নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। একটা একদলীয় নির্বাচন করে সরকার যতই আত্মতৃপ্তি পাক না কেন, জনগণ এই ভোট স্বতঃস্ফূর্তভাবে বর্জন করেছে।”
‘সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারে অধীনে ফের নির্বাচন’ এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনের কাছে লিফলেট বিতরণ করার সময় কথা বলছিলেন রিজভী।
বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর বর্জনের মধ্যে রোববার যে নির্বাচন হয়েছে, তাতে জয়ী হয়ে টানা চতুর্থবারের মত সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।
আর এই সরকারককে ‘অবৈধ ও অগণতান্ত্রিক’ আখ্যা দিয়ে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। ভোটের দুইদিন পরই ফের জনসংযোগে ঢাকার রাজপথে নেমেছেন রিজভী।
বিএনপি মনে করছে এই নির্বাচনে ‘ভোট বর্জনের' ডাক সফল হয়েছে। আর নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে সারা দেশে মোট ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।
রিজভী বলেন, “সরকারের ভয়ভীতি উপেক্ষা করে ৭ জানুয়ারির ভোট বর্জন করায় বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো সর্বস্তরের জনসাধারণকে অভিনন্দন জানাচ্ছে।
“আমরা দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলতে চাই, জনগণের ভোটের অধিকার না ফেরানো পর্যন্ত আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে আন্দোলন আছি, রাজপথে আন্দোলনে থাকব। অবশই জনগণের ভোটের অধিকার আমরা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করব।”
রিজভীর লিফলেট বিতরণের সময়ে বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আরিফা সুলতানা রুমা, নিলুফার ইয়াসমীন নিলু, তাঁতী দলের আবদুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের আব্দুর রহিম, যুবদলের কামরুজ্জামান জুয়েলসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা ছিলেন।