নেতাদের গ্রেপ্তার করে আন্দোলন দমানো যাবে না: রিজভী

২৮ অক্টোবর নয়া পল্টনে বিএনপির সমাবেশ ও সংঘর্ষের পর থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন বিএনপির কয়েক শীর্ষ নেতা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Nov 2023, 05:12 AM
Updated : 3 Nov 2023, 05:12 AM

বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করে নেতৃত্ব দুর্বল কিংবা সরকার পতনের আন্দোলন দমানো যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার সকালে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “সরকারের উদ্দেশে বলতে চাই, বিএনপি দেশের বৃহৎ ও জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। এই দলটির সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক রয়েছে। কাজেই আন্দোলন দমানোর জন্য আপনাদের (সরকার) কোনো কৌশলই সফল হবে না। বিএনপির নেতৃত্বকে দুর্বল করা যাবে না।”

কারাগারের বাইরে থাকা সবশেষ ব্যক্তিও আন্দোলনের নেতৃত্ব দেবে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, “আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারের পদত্যাগসহ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে জনগণ বদ্ধপরিকর। অচিরেই এই অবৈধ সরকারের পতন ঘটবে।”

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ কেন্দ্র করে ঢাকার শান্তিনগর, নয়াপল্টন, বিজয়নগর, ফকিরাপুল, আরামবাগ এবং দৈনিক বাংলা মোড় এলাকায় ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়া হয়। পুলিশ হাসপাতালে ঢুকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দেওয়া হয়, ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করা হয় আরো ডজনখানেক যানবাহন। হামলা করা হয় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে।

দৈনিক বাংলা মোড়ে পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সংঘাতে প্রাণ যায় যুবদলের মুগদা থানার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নেতা শামীম মোল্লার।

সংঘর্ষের পরদিন ২৯ অক্টোবর ডাকা হরতালের সকালে আটক করা হয় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় এখন তিনি কারাগারে।

৩১ অক্টোবর ঢাকার শহীদবাগের একটি বাসা থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও কাঁঠালবাগানের একটি বাসা থেকে যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেন আলালকেও আটক করা হয়।

বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে রাজধানীর গুলশানের একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে। এদিন আরেক বিএনপি নেতা আমিনুল হককে পুলিশ ‘আটক করে’ বলে দাবি করেন রিজভী।

শীর্ষ নেতাকর্মী ছাড়াও অন্যান্য নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে সরকার আন্দোলন দমানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে বিএনপির পক্ষ থেকে।

আমীর খসরু মাহমুদকে আটকের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে রিজভী বলেন, “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একতরফাভাবে অনুষ্ঠিত করে আবারও রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করার পাঁয়তারা করছে আওয়ামী লীগ সরকার। এই হীন উদ্দেশ্যকে সফল করার জন্য তারা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের কারান্তরীণ করার ঘৃণ্য খেলায় মেতে উঠেছে।

“দলকে নেতৃত্ব শূন্য করতেই ফ্যাসিস্ট শাসকগোষ্ঠী দলের জাতীয় নেতাদের ধারাবাহিকভাবে গ্রেপ্তার করছে, জ্যেষ্ঠ নেতাদের আট-দশ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে অকথ্য নির্যাতন করছে। সরকার ভেবেছে এভাবে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন চালালে বিএনপির আন্দোলন স্তব্ধ হয়ে যাবে।”