ছাত্ররাজনীতি সচল করে বুয়েটকে জঙ্গিমুক্ত করুন: ছাত্রলীগ সভাপতি

আল নাহিয়ান খান জয় বলেছেন, “ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করে আপনারা কী বোঝাতে চান? আপনারা কি বুয়েটকে জঙ্গিমুক্ত করতে পারবেন? পারবেন না।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 August 2022, 01:08 PM
Updated : 14 August 2022, 01:08 PM

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ব্যানারে সাবেক নেতাকর্মীদের এক আলোচনাসভা পণ্ড হওয়ার পর সেখানে ফের ছাত্র রাজনীতি চালুর দাবি জানিয়েছেন ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়।

রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে এক মানববন্ধনে তিনি বলেন, বুয়েট ক্যাম্পাসে ‘পাকিস্তানের প্রেতাত্মা’ যারা মাথাচাড়া দিচ্ছে, তাদের চিহ্নিত করতে হবে।

“ছাত্ররাজনীতি আবারও সচল করে বুয়েটকে জঙ্গিমুক্ত করার জন্য আপনাদের পদক্ষেপ নিতে হবে।”

বুয়েটের প্রশাসনের উদ্দেশে তিনি বলেন, “ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করে আপনারা কী বোঝাতে চান? আপনারা কি বুয়েটকে জঙ্গিমুক্ত করতে পারবেন? পারবেন না। আপনাদের জন্য অশনি সংকেত, এই জঙ্গি চক্র আপনাদেরকেই প্রথমে হত্যা করবে।”

২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর রাতে বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনের মুখে ১১ অক্টোবর বুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়।

এদিকে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শনিবার সন্ধ্যায় বুয়েটের সেমিনার অডিটোরিয়ামে ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বুয়েট এর সাবেক নেতৃবৃন্দ’ ব্যানারে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এ খবরে বুয়েটের কয়েকশ শিক্ষার্থী মিলনায়তনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। তোপের মুখে তড়িঘড়ি করে কর্মসূচি শেষ করে ক্যাম্পাস ছাড়েন ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা।

রোববার দুপুরে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে বুয়েটের প্রসঙ্গ ধরে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, “যারা যারা বঙ্গবন্ধুর শোকের প্রোগ্রাম বানচাল করার প্রচেষ্টা হাতে নিয়েছে, তাদেরকে আপনারা খুঁজে বের করুন, তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা উচিত। তারা রাষ্ট্রদ্রোহ এবং সংবিধান লঙ্ঘনের মত একটা কাজ করেছে।

“দেশের জন্য যে বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক নেতৃবৃন্দ কাজ করেছে, কিন্তু জামায়াত-শিবিরের প্রেতাত্মারা নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ভাইদের সাথে কি বেয়াদবিটা করল দেখেছেন? এ ধরনের বেয়াদবদের থেকে ভালো কিছু আসবে- কখনও তা আমি মনে করি না।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এবং সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনও মানববন্ধনে বক্তব্য দেন।