“আসুন, আমরা এই বাংলাদেশের মানুষ, বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের পথে নিয়ে যাই… আমাদের একুশের আদর্শটা আমরা উজ্জ্বল করে রাখি আমাদের ইতিহাসে।”
Published : 21 Feb 2025, 12:39 AM
দেশকে গণতন্ত্রের পথে নিতে ‘ভোট দেওয়ার’ জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন মানুষ ‘অবিলম্বে দেখতে চায়’ বলে মন্তব্য করেছেন আবদুল মঈন খান।
শহীদ দিবস সামনে রেখে শুক্রবার বিকালে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “মহান ভাষা আন্দোলনের যে ধারাবাহিকতা, ভাষা আন্দোলনের আগে বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতার যে ইচ্ছা, সেই ইচ্ছার যে ধারাবাহিকতা এবং আজকে এই ২০২৫ সালে এসে মানুষের নতুন প্রজন্মের ভোট দেওয়ার যে আকাঙ্ক্ষা, মানুষের যে প্রত্যাশা, সেই প্রত্যাশার প্রতিফলন কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ অবিলম্বে দেখতে চায়।
“আসুন, আমরা এই বাংলাদেশের মানুষ, বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের পথে নিয়ে যাই… আমাদের একুশের আদর্শটা আমরা উজ্জ্বল করে রাখি আমাদের ইতিহাসে।”
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মূল আকাঙ্ক্ষার কথা তুলে ধরে মঈন খান বলেন, “আজকে বাংলাদেশের মানুষ একটি অন্তবর্তীকালীন সরকারকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে, তারা কিন্তু পাশাপাশি আরও একটি দাবি করেছে; সেটি হচ্ছে, আমাদের দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে, স্বৈরাচারি থেকে আমাদের সমাজকে রূপান্তরিত করতে হবে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায়।
“এই দায়িত্ব এই অন্তবর্তীকালীন সরকার কতটা সঠিকভাবে পালন করছে, কী করছে না এটা কিন্তু বাংলাদেশের মানু্ষের রেডারে রয়েছে। এটা অস্বীকার করা যাবে না, কারণ বাংলাদেশের মানুষের রক্তে রয়েছে… তারা কখনো এস্টাবলিশমেন্টকে মেনে নেয় না। আজকে যাকে ভালোবাসে তারা যখন ক্ষমতায় যায়, এই একই জনতা কিন্তু তাদের জবাবদিহিতার জন্য আবার ফুঁসে উঠে। এটা সকলকে স্মরণে রাখতে হবে।”
ভাষা আন্দোলনসহ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন এবং ২৪ এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান আবদুল মঈন খান।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ সব সময় অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে। ভাষা আন্দোলনেও প্রতিবাদ করেছে ছাত্র সমাজ। আমি বিশ্বাস করি, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ২৪ এর ছাত্রজনতার আন্দোলন একই সূত্রে গাঁথা। সেই সূত্রটি কি? প্রতিবাদ।”
“অন্যায়ের প্রতিবাদ, স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, আমাদের কথা বলতে না দেওয়ার প্রতিবাদ, আমাদের ভোটের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ….। আজকে আমরা যে পর্যায়ে এসেছি, আসুন আমরা এই বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তুলি।”
রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।
মঈন খানের সভাপতিত্বে এবং দলের প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এএসএম আমানুল্লাহ বক্তব্য দেন।
এছাড়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানি, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, যুব দলের সাধারণ নুরুল ইসলাম নয়ন আলোচনায় অংশ নেন।