কমিশনে নিবন্ধিত ৪০ দলের মধ্যে দুটি ছাড়া বাকি কোনো দলেরই হালনাগাদ তথ্য নেই কমিশনের কাছে।
নবম সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু পর নিবন্ধিত হয় ৪১টি দল। গতবছর হাই কোর্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করলে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪০।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, নিবন্ধিত ৪০টি দলের মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টি ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ছাড়া কোনো দলই তাদের তথ্য হালনাগাদ করেনি।
এ অবস্থায় ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে হালনাগাদ তথ্য চেয়ে দলগুলোকে আবারো চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
কমিশনের সহকারি সচিব রৌশন আরা বিডিনউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বিশেষ পত্রবাহক মারফত প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য কমিশনের পাঠানোর জন্য নিবন্ধিত দলগুলোর মহাসচিবের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
“দলের প্রধান কার্যালয়ের ঠিকানা, যোগাযোগের ঠিকানা, ফোন নম্বর ও ই-মেইল ঠিকানা, যোগাযোগের জন্য দায়িত্বশীল ব্যক্তিসহ কয়েকটি তথ্য নির্ধারিত ছকে পাঠাতে বলা হয়েছে চিঠিতে।”
কমিশনের উপ সচিব পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা জানান, দলগুলো সঠিক সময়ে কাউন্সিল করছে কিনা, তাদের নির্বাচিত কমিটির তালিকা, যোগাযোগের ঠিকানাসহ প্রয়োজনীয় তথ্য চেয়ে কয়েক দফা উদ্যোগ নিলেও তা আর এগোয়নি।
দলগুলো স্বউদ্যোগে জানালে কিংবা কমিশনের রাজনৈতিক দল নিবন্ধন শাখা গণমাধ্যমের সংবাদের ভিত্তিতে নিজেরাই বিভিন্ন সময়ে তথ্য হালনাগাদ করছে বলে জানান তিনি।
অনেক দলের তথ্য কমিশনের কাছে না থাকায় দশম সংসদ নির্বাচনের আগেও দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগে ঝামেলার কথা বলেছিলেন নিবন্ধন বাছাই কমিটির সদস্য সচিব।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (৯০বি) অনুচ্ছেদে দলের নিবন্ধন শর্তে রয়েছে- দলীয় গঠণতন্ত্র অনুসরণে কেন্দ্র থেকে সব পর্যায়ে কমিটি নির্বাচত হতে হবে।
রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বিধিমালার ৯ ধারা অনুযায়ী, দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নতুন কমিটির সদস্যদের তালিকা ও সভার কার্যবিবরণী কমিশনে দাখিল করতে হবে। কমিশন সময়ে সময়ে যেসব তথ্য-দলিল চাইবে তা দেওয়ার পাশাপাশি যেসব বিষয়ে ব্যাখ্যা চাইবে তা দিতে হবে।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে নিবন্ধিত দলগুলোর নির্বাচিত কমিটির নাম কমিশনে জমা দেওয়ার নিয়ম থাকায় নির্ধারিত সময়ে কাউন্সিল অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতায় পড়ছে দলগুলো। এর ধারাবাহিকতায় গত বছরেই দলগুলোর কাউন্সিল শেষ করার কথা ছিল।
২০০৯ সালে ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে প্রধান দলগুলো তড়িঘড়ি করে সম্মেলন শেষ করে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সম্মেলন করে ২০০৯ সালের ২৪ জুলাই আর বিএনপি ৮ ডিসেম্বর।
তিন বছর অন্তর কাউন্সিল করার নিয়ম থাকায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পরের সম্মেলন করে ২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর। তবে বিএনপি এখনো করতে পারেনি।