ঢাকা, অগাস্ট ০৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- আগামী বছরের অক্টোবর থেকে ২০১৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ঠিক করে দুই বছরের ‘রোডম্যাপ’ তৈরি করেছে নির্বাচন কমিশন।
সোমবার এক অনির্ধারিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশনার শাহ নেওয়াজ জানান, নির্বাচন আইন ও বিধিমালা সংশোধনের খসড়া তৈরিসহ অক্টোবরের মধ্যেই রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপ করবেন তারা।
শাহ নেওয়াজ বলেন, ১৮ ডিসেম্বর খসড়া প্রকাশিত হওয়ার পর ২০১৩ সালের জানুয়ারির মধ্যে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।
নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেবে জানিয়ে এই কমিশনার বলেন, “আইন বা ব্যবস্থা যাই হোক, আমরা নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রস্তুত।“
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন এ মাসেই নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ করবে এবং সেপ্টেম্বর নাগাদ এর খসড়া জনগণের কাছে প্রকাশ করা হবে।
“রোডম্যাপ বাস্তবায়নের বিষয়ে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। কিন্তু সময়ের দাবি অনুযায়ী তা পরিবর্তিত হতে পারে,” বলেন নির্বাচন কমিশনার।
এর মধ্যেই নির্বাচন কমিশন নতুন রাজনৈতিক দল অনুমোদনের কাজও করবে বলে জানান শাহ নেওয়াজ।
নামোল্লেখ না করে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, এর মধ্যেই দুটি রাজনৈতিক দল অনুমোদনের জন্য তাদের কাগজপত্র কমিশনের কাছে জমা দিয়েছে।
“আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে (নতুন রাজনৈতিক দল) অনুমোদনের কাজ শেষ করব।”
কয়েক মাসের অনিশ্চয়তার পর নির্বাচন কমিশন রোববার জানায়, আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক মেশিন ব্যবহার করতে তারা প্রস্তুত নয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ (সিইসি) রোববার কমিশনের এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, “জাতীয় পর্যায়ে ইভিএম ব্যবহারের জন্য কমিশন প্রস্তুত নয়। এ জন্য আইন পরিবর্তন করতে হবে। তবে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচনে আমরা পরীক্ষামূলকভাবে ইভিএম ব্যবহার করছি।”
আগামীতে রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও পরীক্ষামূলকভাবে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে বলে জানান তিনি।
আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য দেশের ২০০ উপজেলায় ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শেষ হয়েছে জানিয়ে সিইসি বলেন, কেউ যাতে দ্বৈত ভোটার হতে না পারে সে বিষয়টি যাচাই করা হচ্ছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এনআইএইচ/এইচএএইচ/জেকে/এমআই/২২২৩ ঘ.