পল্টনে সংঘর্ষ: বিএনপিকর্মীদের বিরুদ্ধে ৩ মামলা

রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় চার শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হয়েছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Oct 2012, 09:42 PM
Updated : 2 Oct 2012, 09:42 PM
ঢাকা, অক্টোবর ০৩ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় চার শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে পল্টন থানায় দায়ের করা দুটি মামলার মধ্যে একটিতে গাড়ি ভাংচুর, পুলিশকে মারধর ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। অন্য মামলাটি করা হয়েছে দ্রুত বিচার আইনে।
মামলার বাদী উপ পরিদর্শক ইদ্রিস আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, দুই মামলায় ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরো প্রায় আড়াই শ’ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
এ দুটি মামলায় মঙ্গলবার ২৪জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ইদ্রিস জানান।
একই ঘটনায় অন্য মামলাটি দায়ের করা হয়েছে রমনা থানায়। এতে বেআইনি সমাবেশ ও ভাংচুরের অভিযোগ এনেছেন মামলার বাদী উপ পরিদর্শক আজম উদ্দিন।
রমনার সহকারী উপ পরিদর্শক ময়নাল হক জানান, এ মামলায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরো দেড়শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
এ মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ময়নাল হক জানান।
১৮ দলীয় জোটের সভা সামনে রেখে মঙ্গলবার নেত্রকোনা শহরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ প্রায় ২০ জন আহত হন। আগুন দেওয়া হয় ১৮ দলের সভামঞ্চে।
এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা রাজধানীর নয়া পল্টনে সমাবেশ করার সময় পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে, দুটি গাড়িতে আগুন দেয়া হয়।
পরে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ দিকে ঘটনার পর থেকেই পুলিশ নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘিরে রাখে। ফলে দলের যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরবসহ শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার এড়াতে রাতে ভেতরেই অবস্থান করেন।
পল্টন থানার দুই মামলার আসামিরা হলেন- যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নিরব, যুগ্ম সম্পাদক এসএম জিলানী, সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি হামিদুর রহমান হামিদ, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম মজনু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মামুন হাসান ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাহাঙ্গীর, পল্টন থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি আনন্দ শাহ বাকী বিল্লাহ।
আসামিদের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাদের মধ্যে আছেন সংগঠনের সভাপতি হাবিবুর নবী খান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু।
ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল ও সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বর্তমান সভাপতি আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব, সিনিয়র সহ সভাপতি বজলুল করীম চৌধুরী আবেদ, যুগ্ম সম্পাদক ওবায়দুল হক নাসির, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব আহসান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সভাপতি ইসহাক সরকার ও সেক্রেটারি এনামুল হক এনাম, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি আবুল মনসুর খান দীপক ও সেক্রেটারি রওশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি মহিদুল ইসলাম হীরু, সুনামগঞ্জ দক্ষিণ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি ইকবাল হোসেন খানকেও আসামি করা হয়েছে দুই মামলায়।
এছাড়া পল্টন থানা বিএনপি সভাপতি আনবীর আদিল বাবু ও সেক্রেটারি লোকমান হোসেনের নামও আসামির তালিকায় রয়েছে।
রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় ওই এলাকার বিএনপির স্থানীয় নেতাদের আসামি করা হয়েছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এলএইচ/জেকে/০৯৩০ ঘ.