মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে নেতাকর্মীদের ওপর ‘হামলা ও হত্যা-নির্যাতনের প্রতিবাদে’ সোমবার ঢাকাসহ বিভাগীয় সদর ও জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি।
Published : 18 Dec 2011, 12:52 PM
রোববার রাতে দলের নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকের পর এক সংবাদ ব্রিফিঙে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, “রাজধানীতে পূর্বনির্ধারিত সোমবারের বিজয় শোভাযাত্রার পরিবর্তে প্রতিবাদ মিছিল হবে। দুপুর সাড়ে ৩টায় নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এই মিছিল শুরু হবে।
সারা দেশে বিভাগীয় সদর ও জেলা শহরে এই কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান তিনি।
খালেদা জিয়া তার গুলশান কার্যালয়ে রাত পৌনে ৮টার দিকে দলের স্থায়ী কমিটির নেতাসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতার সঙ্গে বৈঠকে বসেন।
সেখানে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন প্রাঙ্গণে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে পুলিশের ‘নির্যাতন, হত্যা ও ক্ষমতাসীন ক্যাডারদের অগ্নিসংযোগ ও হামলা’ পরিবর্তী করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক প্রায় আধঘণ্টা স্থায়ী হয়।
রোববার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আগতদের সকালে পুলিশ লাঠিপেটা করে বের করে দেয়।
এর পর ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত বিস্ফোরণ এবং কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরানোর ঘটনা ঘটে। ঢাকায় বিস্ফোরণে এক জন নিহত হয়। সিলেটে পুড়ে মারা যায় এক বাসযাত্রী।
মির্জা ফখরুল বলেন, “সরকার মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের কর্মসূচি বানচাল করতে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে তিন শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
“মতিঝিল, নয়া পল্টন, প্রেস ক্লাব, কাকরাইলে আওয়ামী লীগের পেটোয়া বাহিনী বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে। আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশকে নিয়ে লাঠিপেটা করেছে।”
এর নিন্দা জানিয়ে গ্রেপ্তারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেন মির্জা ফখরুল। একই সঙ্গে তিনি দোষীদের শাস্তি দাবি করেন।