খালেদার জন্য বৈঠকে বসছে মেডিকেল বোর্ড

অসুস্থ হয়ে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা পর্যালোচনায় বৈঠকে বসছে মেডিকেল বোর্ড।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 June 2022, 04:26 AM
Updated : 11 June 2022, 04:26 AM

বোর্ডের চিকিৎসকরা শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বৈঠকে বসবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

৭৬ বছর বয়সী খালেদা অসুস্থ হয়ে পড়লে শুক্রবার রাতে তাকে ঢাকার বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে সিসিইউতে (ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট) রাখা হয়েছে।

দণ্ডিত খালেদা জিয়া সরকারের নির্বাহী আদেশে দু্ই বছর ধরে মুক্ত থাকার মধ্যে এর আগেও হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিয়েছেন।

তার চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতাল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে। সেই বোর্ডই আবার বৈঠকে বসতে যাচ্ছে।

অধ্যাপক জাহিদ বলেন, “সকাল সাড়ে ১০টায় মেডিকেল বোর্ড বসছে। তার (খালেদা) হার্টের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো পর্যালোচনা করে চিকিৎসার করণীয় ঠিক করবেন তারা।”

খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। এর মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর মাঝেমধ্যেই তার শারীরিক পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে, থাকতে হয়েছে হাসপাতালেও।

শুক্রবার রাতে গুলশানের বাসায় ফিরোজায় অসুস্থ হয়ে পড়লে খালেদাকে তার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

শুক্রবার গভীর রাতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও তার নেত্রীর অসুস্থতার সংবাদ শুনে দ্রুত উত্তরার বাসা থেকে গুলশানে আসেন।

হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরপরই খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রের কয়েকটি পরীক্ষা তাৎক্ষণিকভাবে করা হয়।

ফখরুল তখন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের হৃদযন্ত্রে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেজন্যই তিনি অসুস্থ বোধ করছিলেন।

২০২১ সালের এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর এ নিয়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ দফায় বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হল।

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্ত সাপেক্ষে সাজা স্থগিত করে সাময়িকভাবে মুক্তি দেওয়া হয় তাকে।

২০২১ সালে একবার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার ‘পরিপাকতন্ত্রে’ রক্ষক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান চিকিৎসকরা।

বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নেই দাবি করে তাকে বিদেশে পাঠাতে কয়েক দফা আবেদন করেছিলেন তার ভাই শামীম ইস্কান্দার। কিন্তু সাময়িক মুক্তির শর্তের বিষয়টি উল্লেখ করে প্রতিবারই তা নাকচ করেছে সরকার।

আরও পড়ুন