‘নিজেদের গোষ্ঠী স্বার্থে’ সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়েছে সরকার: ফখরুল

সয়াবিন তেলকে ‘সোনার হরিণের’ সঙ্গে তুলনা করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অভিযোগ, সরকার নিজেদের গোষ্ঠী স্বার্থে দাম এতটা বাড়িয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 May 2022, 04:51 PM
Updated : 6 May 2022, 04:51 PM

শুক্রবার এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে মিল মালিকদের বৈঠকের পর এক লাফে সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি সরকারের চরম গণবিরোধী নীতিরই বহিঃপ্রকাশ।

“সয়াবিন তেল এখন সোনার হরিণ। সরকার নিজেদের গোষ্ঠী স্বার্থে সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়েছে।”

দাম এতটা বাড়ানোর প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “আশেপাশে কোনো দেশেই ভোজ্যতেলের মূল্য বৃদ্ধি পায়নি। একমাত্র বাংলাদেশের বর্তমান গণ ধিকৃত সরকারই জনগণের স্বার্থের কথা তোয়াক্কা করে না। এরা নিপীড়ন-নির্যাতনের ভয়ার্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে জনগণকে বন্দি করে রাখতে চায়।”

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফাচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক বার্তায় ভোজ্যতেলের নতুন দর ঘোষণা করা হয়।

নতুন দাম অনুযায়ী খোলা সয়াবিন তেল এখন প্রতি লিটার ১৮০ টাকা, যা এতদিন ১৪০ টাকা ছিল। বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৯৮ টাকা করা হয়েছে। ৫ লিটারের বোতলের দাম হবে ৯৮৫ টাকা।

সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “এ সরকার যে জনগণের শক্রপক্ষ, সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধিতে তা আবারও প্রমাণিত হল।

“ঈদুল ফিতরের প্রাক্কালে বাজার থেকে সয়াবিন তেল উধাও এবং গতকাল (বৃহস্পতিবার) সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি অভিনব নজীরবিহীন ঘটনা যা জনগণকে চরম ভোগান্তিতে ফেলেছে। ক্ষমতাসীন মহলের সিন্ডিকেটের দৌরাত্বেই বাজার থেকে সয়াবিন তেল গায়েব করে এখন চরম দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে মধ্যম ও স্বল্প আয়ের মানুষকে গচ্চা দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ।”

ফখরুল বলেন, “ভোজ্যতেল হিসেবে সয়াবিন তেল অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি পণ্য। প্রতিটি পরিবারে রন্ধন কাজের জন্য এটি একটি অত্যাবশকীয় উপকরণ। নিত্য প্রয়োজনীয় এই পণ্যকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়াই প্রধান লক্ষ্য।

“ভোটারবিহীন সরকারকে জনগণের কাছে কোনো জবাবদিহি করতে হয় না বলেই সয়াবিন তেলের মত একটি প্রয়োজনীয় পণ্যকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সেটি জনগণের ক্রয়ক্ষমতা থেকে দূরে ঠেলে চরম দুর্ভোগের মধ্যে ফেলা হয়েছে।”