মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি মতামত দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবে।”
আনিসুল হক আগেই বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিএনপি নেত্রীর বিদেশযাত্রার আবেদন বিবেচনার সুযোগ নেই। তাকে কারাগারে ফিরে তবেই আবেদন করতে হবে।
বিদেশ যাত্রার বিষয়ে তিনি মঙ্গলবারও বলেন, “আমি যা বলেছি সেটাই ঠিক।”
আবার খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ এই সেপ্টেম্বরেই শেষ হচ্ছে। তা আরও ছয় মাস বাড়ানোর আবেদনও করেছে তার পরিবার।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সরকারি সফরে জার্মানিতে রয়েছেন। ১২ সেপ্টেম্বর তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফাইল যাবে। তিনি সিদ্ধান্ত দেবেন।”
দুর্নীতির মামলায় দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে কারাগারে যাওয়ার পর গত বছর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটলে পরিবারের আবেদনে সরকার দণ্ডের কার্যকারিতা স্থগিত করে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়।
শর্তাধীনে মুক্তি পেয়ে গুলশানে নিজের বাড়িতেই রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা। এর মধ্যে তিনি করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাও নেন।
৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে বিএনপি বরাবরই দাবি জানিয়ে আসছে।
দুই মাস আগে পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিল, কিন্তু তা নাকচ করে দেয় সরকার।
গত বছরের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দিয়েছিল সরকার।
ওই শর্তে বলা ছিল, শর্ত অনুযায়ী, মুক্ত থাকার সময়ে খালেদা জিয়াকে ঢাকায় নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।
এরপর সেই শর্তে তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল।