এরা হলেন হেফাজতের সদ্য বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমির অধ্যাপক আহমদ আবদুল কাদের এবং টেলিভিশনের ইসলামিক অনুষ্ঠানের উপস্থাপক, ‘ধর্মীয় বক্তা’ মুফতি নুরুজ্জামান নোমানী।
কাদেরকে পাঁচ দিনের এবং নোমানীকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুক্রবার আলাদাভাবে ঢাকার হাকিম আদালতে হাজির করা হয়।
পুলিশের আবেদনে মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা দুই আসামিকেই কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে তদন্ত কর্মকর্তা জানান।
২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার ছয়টি প্রবেশমুখে অবরোধ কর্মসূচি দেয় হেফাজতে ইসলাম। অবরোধ কর্মসূচি শেষে হেফাজতের নেতা-কর্মীরা মতিঝিলের শাপলা চত্বরে অবস্থান নেয়।
সেদিন শাপলা চত্বরে ওই অবস্থান ঘিরে দিনভর পুলিশের সঙ্গে হেফাজতকর্মীদের সংঘর্ষ চলে। মতিঝিল, পল্টন ও আশপাশ এলাকায় ফুটপাতের শত শত দোকান ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ করে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। তাণ্ডবের শিকার হয় আশপাশের অনেক সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা।
সেসব ঘটনায় হেফাজতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পল্টন, মতিঝিলসহ বিভিন্ন থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশ।
এর মধ্যে পল্টন থানায় দায়ের করা এক মামলায় ২০ দলীয় জোটের শরিক খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদেরকে গত ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় ঢাকার আগারগাঁও থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক এই সভাপতিকে পরদিন আদালতে হাজির করে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে বিচারক ৫ দিন মঞ্জুর করেন।
এদিকে নুরুজ্জামান নোমানীকে গ্রেপ্তার করা হয় ২৬ এপ্রিল রাতে তাকে মিরপুরে তার বাসা থেকে। পরদিন তাকে আদালতে হাজির করে পল্টন থানার মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক তাকে দুই দিন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
পুনরো খবর