বুধবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির নবনির্বাচিত সদস্যদের পরিচিতি ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সে একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “জন্মলগ্ন থেকে বিএনপি গণতন্ত্রের মুখোশের আড়ালে গণতন্ত্র হত্যা, মানবাধিকার লঙ্ঘন করে আসছে। তারা এখনও সেই ধারাবাহিকতাই চর্চা করে চলেছে।
“বিএনপির নেতিবাচক ও অপরাজনীতিতে দেশের চলমান উন্নয়ন ধারাই শুধু বাধাগ্রস্ত হচ্ছে না, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের বিকাশধারা।”
তিনি বলেন, “জনগণ আশা করেছিল নির্বাচন ও আন্দোলনে ধারাবাহিক ব্যর্থতার পর বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে তোষণ ও পোষণ কর ত্যাগ করবে, কিন্তু তারা তা না করে উল্টো গাঁটছড়া বেধে আছে। স্বাধীনতাবিরোধীদের সাথে সখ্যতা রেখে স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী পালন মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধের সাথে রসিকতা আর তামাশা ছাড়া কিছুই নয়।”
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, “বিএনপির আন্দোলন, সমাবেশ, মিছিল, মানববন্ধন মানেই হচ্ছে সহিংসতা আর সন্ত্রাস। জনগণ তাদের কর্মসূচিতে এখন ভীত সন্ত্রস্ত।
“বিএনপি কর্মসূচি ঘোষণা করলে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরাও বাস পোড়ানোর ভয়ে বন্ধ করে দেয় অথচ বিএনপি দায় চাপায় সরকারের উপর। আন্দোলন এবং নির্বাচনে ধারাবাহিক ব্যর্থতার পর বিএনপি এখন পুলিশকে প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়েছে।”
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “দেশের জনগণই বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা বানিয়েছে আর শেখ হাসিনাকে করেছে বিশ্বের সেরা তিনজনের একজন সেরা রাষ্ট্রপ্রধান।”
দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রান্তে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সদস্য সচিব সুজিত রায় নন্দী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপাসহ উপকমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।