শনিবার রাজধানী রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সেমিনার কক্ষে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্বিবদ্যালয় (ডুয়েট) ছাত্রলীগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে মুজিববর্ষ উপলক্ষে আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি।
মোজাম্মেল হক বলেন, “বঙ্গবন্ধু ছিলেন সব দিকেই দক্ষ একজন রাষ্ট্রনায়ক। যারা আমাদের তলাবিহীন ঝুড়ি বলে উপহাস করত তাদের দেশ থেকেই বঙ্গবন্ধুকন্যা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছেন।
“বঙ্গবন্ধু সারা বিশ্বের রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন। তার সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি ও স্বাধীনতার লক্ষ্যে জাতির পিতা ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠান করেছিলেন। পরবর্তীতে ছাত্রলীগই স্বাধীনতা যুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। পৃথিবীতে একমাত্র নেতা শেখ মুজিব যিনি একাধারে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন এবং স্বাধীনতা অর্জন করেছেন।”
তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধু বিশ্ব সভায় দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, বিশ্ব আজ দুই ভাগে বিভক্ত। একদিকে শোষক আর একদিকে শোষিত, আমি শোষিতের পক্ষে। “বিশ্বকে তিনি কমান্ড করেছিলেন তিনি কোন পক্ষের। বিশ্ব সভায় তিনি বাংলাদেশের নেতা হিসেবে কথা বলেননি, বিশ্বনেতা হিসেবে কথা বলেছেন। তিনি বলেছিলেন, অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করে এই পয়সা দিয়ে দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য, শিক্ষার, স্বাস্থ্যের জন্য খরচ করতে বলেছিলেন। জাতিসংঘে দাঁড়িয়ে তিনি উপদেশ দিতেন, বিশ্বের নীতি কী হওয়া উচিত।”
আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর বলেন, “জাতির পিতা আমাদের এই দেশ উপহার দিয়ে গিয়েছেন। তিনি না থাকলে আমরা আজও স্বাধীন হতাম না। আর তারই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ তারই দেখানো পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে ২০৪১ সালের আগেই মধ্যম আয়ের দেশ উন্নত দেশের কাতারে দাঁড়াবে।”
ডুয়েকা সভাপতি ও বিটিআরসির মহাপরিচালক এ কে এম শহীদুজ্জামান মিন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. রুহুল আমিন। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক এম হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. নূরুজ্জামান, আইইবির সম্মানী সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদাৎ হোসেন (শীবলু) পিইঞ্জ, ডুয়েকার মুজিব শতবর্ষ উদযাপন কমিটির আহবায়ক এবং টেশিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফখরুল হায়দার চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।