‘রাজনৈতিক সংস্কৃতি বদলাতে চেয়েছিলেন শেখ কামাল’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে শেখ কামালের ৭১তম জন্মবার্ষিকীতে তার প্রতিকৃতি ও সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 August 2020, 08:21 AM
Updated : 5 August 2020, 08:21 AM

বুধবার সকাল আটটায় ধানমণ্ডিতে আবাহনী ক্লাব মাঠ প্রাঙ্গণে শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

পরে সকাল নয়টায় তারা রাজধানীর বনানী কবরস্থানে শেখ কামালের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে শেখ কামালের ৭১তম জন্মবার্ষিকীতে বুধবার বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, “রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানের পুত্র হয়েও শেখ কামাল অত্যন্ত সাদাসিধে জীবনযাপন করতেন। ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেও তিনি ছিলেন নির্লোভ, নির্মোহ।

“সাধারণ জীবনযাপনের কারণে শেখ কামাল বর্তমান প্রজন্মের কাছে এক অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব হলেও স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি ও দেশবিরোধী চক্র জাতির পিতার পরিবার নিয়ে গোয়েবলসীয় কায়দায় বারবার মিথ্যাচার করে জনমানসে এক ভ্রান্ত প্রতিচিত্র আঁকার অপচেষ্টা করেছে।”

ওবায়দুল কাদের বলেন, “শেখ কামাল বুঝতে পেরেছিলেন রাজনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন চাইলে রাজনীতির সংস্কৃতি বদলাতে হয়। রাজনৈতিক সংস্কৃতি হল আদর্শবাদী রাজনীতি মজবুত করার নিখাদ বুনিয়াদ। রাজনীতির সংস্কৃতিকে টেকসই করার জন্য তিনি সংস্কৃতির রাজনীতির উপর গুরুত্বারোপ করেছিলেন।

“ক্রীড়া ও সংস্কৃতিকে তিনি গ্রহণ করেছিলেন আত্মাপোলব্ধির সোপান হিসেবে। সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উৎকর্ষ সাধনে ক্রীড়া ও সংস্কৃতির নিগূঢ় শক্তিতে বলীয়ান হতে পারলে সবকিছুই কল্যাণমুখী হবে- এ বোধ তার মধ্যে প্রবলভাবে জেগে উঠেছিল।”

বনানী কবরস্থানে শেখ কামালের ৭১তম জন্মবার্ষিকীতে বুধবার তার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, “তিনি অনন্য অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন। জাতির পিতার সন্তান হওয়া সত্বেও তিনি সাধারণ জীবনযাপন করতেন। সংস্কৃতি ও ক্রীড়াঙ্গনে জাতি গঠনে যে অনন্য অবদান তিনি রেখে গেছেন,তা স্মরনীয় হয়ে থাকবে।

“তিনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন, সব মিলিয়ে তার একটা অনন্য অবদান রয়েছে। যেমন মেধাবী ছিলেন, তেমনি সরলভাবে মানুষের সঙ্গে মিশেছেন। সুতরাং এই দিনে তার প্রতি শদ্ধা নিবেদন করছি। আজকে আমাদের এগিয়ে চলার সঙ্গে তিনি থাকলে আমরা আরও অনেক দ্রুত গতিতে এগিয়ে যেতে পারতাম। স্বপ্নের বাংলাদেশ আরও অনেক আগেই হতো।”

সেনা কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডে কেউ পার পাবে না

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার ঘটনায় জড়িতরা কেউ পার পাবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মেজর সিনহার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে তিনি বলেন, “এই হত্যাকাণ্ডের সাথে কারা জড়িত, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সত্যকে উদঘাটন করা হবে। কেউ পার পেয়ে যেতে পারবে না।”

বনানী কবরস্থানে শেখ কামালের ৭১তম জন্মবার্ষিকীতে বুধবার তার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে তিনি নিহত হন।

ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারের কথা জানিয়ে সে সময় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, সিনহা তার পরিচয় দিয়ে ‘তল্লাশিতে বাধা দেন’। পরে ‘পিস্তল বের করলে’ চেক পোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ তাকে গুলি করে।

তবে ঘটনার যে বিবরণ পুলিশ দিয়েছে, তা নিয়ে ইতোমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ইতোমধ্যে উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। যিনি সেদিন গুলি ছুড়েছিলেন, সেই পরিদর্শক লিয়াকত আলিসহ বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ২০ পুলিশ সদস্যকে ইতোমধ্যে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

ওই ঘটনায় পুলিশের নয় সদস্যকে আসামি করে বুধবার সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের পরিবার একটি হত্যা মামলা করেছে।