৩৩% নারী: প্রতিশ্রুতিপূরণে  সময় দেওয়ার পক্ষে আওয়ামী লীগ

নিবন্ধিত দলের স্তরের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতে আরও সময় দেওয়ার পক্ষে আওয়ামী লীগ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 July 2020, 05:48 PM
Updated : 29 July 2020, 05:48 PM

নির্বাচন কমিশন প্রস্তাবিত ‘রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইনের’ খসড়ায় এ মতামত দিয়েছে ক্ষমতাসীন দলটি।

বুধবার আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ ও দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া দলটির মতামত ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীরের কাছে জমা দেন।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী সব স্তরের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে চায় ইসি। ২০২০ সালের মধ্যে তা পূরণে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে নিবন্ধিত দলগুলো।

ইসি নতুন আইনের খসড়া নিয়ে আওয়ামী লীগের মতামত বিষয়ে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব সাংবাদিকদের বলেন, “দলটি ২০২৫ সালের মধ্যে ৩৩ শতাংশ নারী পদ পূরণের বিধান প্রস্তাবিত নতুন আইনে রাখার জন্য মতামত দিয়েছে।”

এর মধ্যে আওয়ামী লীগে নেতৃত্বে নারী প্রতিনিধিত্ব প্রায় ২৬ শতাংশ, জাতীয় পার্টি ও বিএনপিতে ২০ শতাংশের নিচে রয়েছে বলে ইসি কর্মকর্তারা জানান।

বর্তমানে ইসিতে ৪১টি নিবন্ধিত দল রয়েছে। অধিকাংশ দলই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নারী প্রতিনিধ্বি নিশ্চিত করতে পারেনি।

ইসিতে আওয়ামী লীগের মতামত জমা দেওয়ার পর প্রচার সম্পাদক গোলাপ সাংবাদিকদের বলেন, “৫০ শতাংশ নারী প্রতিনিধ্বি পূরণের পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রীর যে দৃঢ় ভূমিকা রয়েছে, আমরা সেভাবেই আমাদের মতামত দিয়েছি্।”

মতামত দিতে সময় আর বাড়াবে না

১৬ জুন দল নিবন্ধন আইনের খসড়াটি রাজনৈতিক দলের কাছে মতামতের জন্য পাঠানো হয় এবং জন মতামত সংগ্রহে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

এক দফা বাড়ানোর পর ৩১ জুলাই সময়সীমা দেয় কমিশন।

এরইমধ্যে ১৬টি নিবন্ধিত দল, ১০টি অনিবন্ধিত দল এবং ১০ জন ব্যক্তির মতামত এসেছে বলে জানান ইসি কর্মকর্তারা।

প্রস্তাবগুলোর বিষয়ে ইসি সচিব মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, “মতামতগুলো মিশ্র। ৩৩% নারী প্রতিনিধিত্বে সময় না বাড়াতে বলেছে কেউ কেউ; অন্য বিষয়েও তারা মতামত এসেছে।। আমরা এগুলো একীভূত করে কমিশনে দেব।”

বিএনপি প্রস্তাবিত আইনের সমালোচনা করে তা স্থগিত রাখার পরামর্শও দিয়েছে।

ইসি সচিব জানান, ৩১ জুলাই এর পর আর সময় বাড়ানো হবে না। এরপরই যৌক্তিক মতামতের ভিত্তিতে নতুন দল নিবন্ধন আইনের খসড়া চূড়ান্ত করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।