বাড়ি ভাড়া: শিক্ষার্থীদের ‘পাশে থাকবে’ ছাত্রলীগ

করোনাভাইরাস সংকটের মধ্যে শিক্ষার্থীরা মেস বা বাড়ি ভাড়া নিয়ে কোনো সমস্যায় পড়লে তার সুষ্ঠু সমাধানে পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 July 2020, 03:27 PM
Updated : 3 July 2020, 04:08 PM

ভাড়া দিতে দেরি হওয়ায় রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারের দুটি মেস থেকে শিক্ষার্থীদের সনদসহ ব্যবহৃত মূল্যবান মালামাল ভাগাড়ে ফেলে দেওয়ার ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর শুক্রবার এই ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনটি।

ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, “শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাড়িওয়ালা ও মেস মালিকদের অমানবিক আচরণ তাদের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে। ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে যে কোনো মানবিক ও যৌক্তিক বিষয়ের সুষ্ঠু সমাধানের জন্য বদ্ধপরিকর।”

শিক্ষার্থীদের যে কোনো সমস্যার সুষ্ঠু সমাধানের জন্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েকজন নেতার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সমাজ সেবা সম্পাদক শেখ স্বাধীন শাহেদ (০১৭২৩৬০৯১৫৭), সমাজ সেবা বিষয়ক উপসম্পাদক হাসানুর রহমান হাসু (০১৭০৩৯৮৫৪০১), তৌকির আহম্মেদ তপু (০১৯১২২৩১১৭৫), আহমেদ নাসিম ইকবাল (০১৭৭৩৯৭৫২৭৭) ও শেখ সাঈদ আনোয়ার সিজারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।

ছাত্রলীগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “বিদ্যমান করোনা সংকটে শিক্ষার্থী ভাই-বোনদের সাথে অমানবিক আচরণ না করে তাদের প্রতি সদয় হয়ে যৌক্তিক ও সুষ্ঠু সমাধানের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সকল বাড়িওয়ালা ও মেস মালিকদের প্রতি অনুরোধ জানানো হচ্ছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থী ভাই-বোনদেরকেও তাদের সাথে আলোচনা করে যৌক্তিক সমাধানের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।”

জড়িতদের শাস্তি দাবি ছাত্রফ্রন্টের

ভাড়ার জন্য শিক্ষার্থীদের মালামাল ফেলে দেওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।

শুক্রবার সংগঠনটির ঢাকা নগর শাখার সভাপতি রাফিকুজ্জামান ফরিদ ও সাধারণ সম্পাদক অরূপ দাস শ্যাম এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, “করোনাকালীন সংকটে শিক্ষার্থীদের সংকট নিরসনে মেস ভাড়া মওকুফে রাষ্ট্রীয় প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের হয়রানি ও মালামাল, সার্টিফিকেট নষ্টের ঘটনায় জড়িত মেস মালিকদের আইনের আওতায় সাজা দিতে হবে।”

বিবৃতিতে বলা হয়, “সারা দেশে প্রায় ৫০ লক্ষ শিক্ষার্থী আছে যারা মেস, সাবলেট, হল ভাড়া করে থাকে। তার মধ্যে ৫-৭ লক্ষ শিক্ষার্থী ঢাকায় মেস-সাবলেট করে থাকে এবং তাদের জীবিকার প্রধান উৎস হল ছাত্র পড়ানো। কিন্তু বর্তমানের করোনা সংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের সেই সুযোগ নেই।

“ফলে ছাত্ররা ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে। এই অবস্থায় বাসার মালিকেরা বাসা ভাড়ার জন্য ক্রমাগত চাপ দিয়ে যাচ্ছে। মেস মালিকরা কতোটা অমানবিক হতে পারে! অথচ এই সময়ে সবচেয়ে প্রয়োজন ছিল মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়ানো। অপরদিকে রাষ্ট্রের দায়িত্ব ছিল শিক্ষার্থীদের এই সংকটে পাশে দাঁড়ানো। কিন্তু এই বিষয়ে আমরা এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রকে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখিনি।”