শনিবার উত্তরা বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগ চালানোর সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “নির্বাচনের মাঠে আমি সকল প্রতিপক্ষকে সমান চোখে দেখি। কে ভালো কে খারাপ, সেটা জনগণই সিদ্ধান্ত দেবে, আমি নই।”
ঢাকার উত্তরে তাবিথের প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন আওয়ামী লীগের আতিকুল ইসলাম, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) শাহীন খান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শেখ মো. ফজলে বারী মাসউদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মো. আনিসুর রহমান দেওয়ান এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির আহম্মেদ সাজেদুল হক রুবেল।
গত শুক্রবার প্রতীক বরাদ্দের দিনে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের অনেকে সন্ধ্যার দিকে প্রতীক পাওয়ায় দেরিতে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন বলে জানান তাবিথ আউয়াল।
গণসংযোগে এসে জনগণের সাড়া পাচ্ছেন জানিয়ে ৪১ বছর বয়সী এই মেয়রপ্রার্থী বলেন, “বিএনপি প্রার্থীরা যেখানে যাচ্ছি, সেখানেই ভোটের উত্তপ্ত পরিবেশ দেখেছি। প্রশ্নও পাচ্ছি, জনগণ থেকে যে তারা ভোট দিতে পারবেন কি না। তবে তারা বলেছেন, সময় আসলে তারা ভোট অবশ্যই দেবেন। জনগণ চাচ্ছে বিএনপিকেই তাদের ভোট দেওয়ার জন্য।
“আমরা লক্ষ্য রাখছি, আমাদের প্রচারে কোনো বাধা আছে কি না, প্রতিপক্ষ আচরণবিধি মেনে চলে কি না। আগামী দিনগুলোতে বলতে পারবো, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কেমন আছে।”
তাবিথ জানান, আগামী দিনে তাদের প্রচার ‘জনগণের স্বার্থে হবে, জনকল্যাণে হবে’।
উত্তরার আজমপুর বাজার থেকে শনিবারের প্রচার শুরু করার সময় তিনি বলেন, “ঢাকা অচল হয়ে গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে, শর্ট টাইম ইস্যুতে পরিকল্পনা করতে হবে।”
উত্তরখান ও দক্ষিণখানের যেসব এলাকা নতুন করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সেখানে জলাবদ্ধতা, মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য, মশা নিবারণ ইস্যুতে ‘অনেক কাজ করার রয়েছে’বলে মন্তব্য করেন তাবিথ।
তিনি বলেন, “ঢাকার সাথে ওনাদের অনেক দিনের সম্পর্ক ছিলো, কিন্তু তারা কোনো সুযোগ সুবিধা পান নাই। নতুন ওয়ার্ডের জন্য নতুন করে রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে আমাদের।”
উত্তরখান মাজারে জনতার উদ্দেশে তাবিথ বলেন,“আগামী দিনে নিরাপদ শহর গড়ে তোলার জন্য যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, সেটা বাস্তবায় করতে হবে।”
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী নির্বাচনী গণসংযোগে তাবিথের সঙ্গে ছিলেন।