তিনি বলেছেন, বাজারে চালের দাম বাড়লেও মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যে কৃষক সেই দাম পায় না।
সোমবার ঢাকার কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার আসর মিলনায়তনে জাতীয় কৃষক পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে একথা বলেন জি এম কাদের।
তিনি বলেন, “কৃষকরাই সব চেয়ে অবহেলিত, কৃষি খাত এখনও অলাভজনক। আজকে কৃষিক্ষেত্রে সরকারের ভর্তুকি প্রকৃত কৃষকদের হাতে পৌঁছে না।”
চলতি বছরের ২০ নভেম্বর থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে ৬ লাখ টন ধান কেনা শুরু করেছে সরকার, যা চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকার ধান কেনার ঘোষণা দেওয়ার পর চলতি নভেম্বর মাসের শুরু থেকেই বাড়তে শুরু করে চালের দাম।
২৬ টাকা কেজি হিসাবে প্রতিমণ ধানের দাম পড়ে ১০৪০ টাকা। যদিও আউশ মওসুমে ৬০০ টাকা থেকে ৬৫০ টাকায় ধান বিক্রি হয়েছিল।
নভেম্বরের শুরুতে খোলা বাজারে ধানের দাম প্রতি মণ ৭০০ টাকা থেকে বেড়ে ৮৫০ টাকা বেড়েছে বলে ব্যবসায়ীরা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
চালের দাম বৃদ্ধিতে নানা সমালোচনার মুখে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক দাবি করেন, ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় তার প্রভাবে বেড়েছে চালের দাম এবং এতে কৃষকরা ‘উপকৃত’ হচ্ছেন।
তবে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী জি এম কাদের বলেন, “কৃষকদের হাতে যখন ধান থাকে, তখন ধানের দাম থাকে না। কিন্তু কৃষকরা ধান বিক্রি করলেই চালের দাম বেড়ে যায়। মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে কৃষকরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
“আবার সরকারিভাবে যখন কৃষি পণ্য ক্রয় করা হয়, তখন কিছু অসাধু রাজনৈতিক নেতাদের লোক প্রভাব বিস্তার করে কৃষকদের প্রাপ্য অধিকার কেড়ে নেয়।”
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাঁর কণ্ঠেও ছিল এই সমালোচনা।
তিনি বলেন, “এখন চালের দাম ধরাছোঁয়ার বাইরে কিন্তু কৃষকরা পণ্যের দাম পায় না।”
পেঁয়াজ সংকটের কথা তুলে ধরে রাঙ্গাঁ বলেন, “পাকিস্তান ও সিরিয়া থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। কিন্তু পেঁয়াজ উৎপাদনকারী কৃষকদের এক ভাগ কৃষকও মৌসুমে ন্যায্যমূল্য পায়নি।”
জাতীয় কৃষক পার্টির সম্মেলনে সাহিদুর রহমান টেপা সভাপতি এবং এবিএম লিয়াকত হোসেন চাকলাদারকে সাধারণ সম্পাদক হন বলে জাতীয় পার্টির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।