সংসদ চত্বরে খোকার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের শেষ মেয়র সাদেক হোসেন খোকার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হল জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Nov 2019, 06:32 AM
Updated : 7 Nov 2019, 07:15 AM

বেলা ১১টার দিকে অনুষ্ঠিত এই জানাজায় আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বিএনপি, ওয়ার্কার্স পার্টি, এলডিপির জ্যেষ্ঠ নেতা-কর্মী, সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা-কর্মচারীরা অংশ নেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় মুক্তিযোদ্ধা খোকার কফিন।

নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের মেমোরিয়াল স্লোয়ান ক্যাটারিং ক্যান্সার সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার মারা যান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খোকা। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।

সোমবার নিউ ইয়র্কে কুইন্সের জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে খোকার জানাজা হয়।

জাতীয় সংসদ চত্বরে জানাজার পর খোকার মরদেহবাহী নিয়ে যাওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে

ঢাকায় প্রথম জানাজার পর খোকার মরদেহ নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত তার মরদেহ রাখা হবে সর্স্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য।

এরপর বাদ জোহর নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে, বিকাল ৩টায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবন এবং বাদ আসর ধুপখোলা মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

নগর ভবনের জানাজা শেষে দাফনের আগে গোপীবাগের বাসায় মরহুমের কফিন কিছুক্ষণ রাখা হবে।

চতুর্থ জানাজার পর সাদেক হোসেন খোকাকে জুরাইন কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে বলে জানান রিজভী।

সংসদ চত্বরে জানাজায় অংশ নিতে এসে আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা তোফায়েল আহমেদ মুক্তিযুদ্ধে খোকার অবদানের কথা স্মরণ করেন।

তিনি বলেন, “আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক মত-পার্থক্য থাকলেও ব্যক্তিজীবনে তিনি চমৎকার মানুষ ছিলেন। বিনয়ী ও মার্জিত আচরণের ব্যক্তি ছিলেন। ব্যক্তিজীবনে আমাদের প্রত্যেক্যের ত্রুটি রয়েছে। সাদেক হোসেন খোকা মানুষ হিসেবে ছিলেন অমায়িক ও ভদ্র।”

জানাজার পর বিভিন্ন দলের নেতারা খোকার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন

পরিবারের পক্ষে খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, “সব দলের নেতা-কর্মীরা আমার বাবার জানাজায় অংশ নিয়েছেন- এতে প্রমাণ হয় তিনি সার্বজনীন রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। তিনি ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে দেশে ফিরেছেন। বাংলাদেশের পাসপোট তিনি পাননি। এটা তার জীবনের আক্ষেপ ছিলে। তিনি বাংলাদেশে তার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে পারেননি।”

জানাজা শেষে বিরোধী দলীয় নেতার পক্ষে বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গাঁ খোকার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে মেয়র আতিকুল ইসলাম, এলডিপির চেয়ারম্যান অলি আহমেদ, বিএনপির সংসদ সদস্যরা এবং দলের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে কফিনে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

জানাজায় আরও অংশ নেন বিকল্পধারার চেয়ারম্যান একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন খান, মওদুদ আহমেদ, জয়নুল আবদীন ফারুক, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ, ফখরুল ইমাম, হাজি সেলিম, আসম ফিরোজ, কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের কাদের সিদ্দিকী।