বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে দুবাই হয়ে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় এই মুক্তিযোদ্ধার কফিন।
বিমানবন্দরে সাদেক হোসেন খোকার কফিন বুঝে নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
খোকার স্ত্রী ইসমত হোসেন, ছেলে ইশরাক হোসেন ও ইশফাক হোসেন, মেয়ে সারিকা সাদেক এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আব্দুস সালামসহ স্বজনরাও একই ফ্লাইটে দেশে এসেছেন।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে ইকবাল মাহমুদ টুকু, আমীর খসুর মাহমুদ চৌধুরী, কামরুল ইসলাম, আতাউর রহমান ঢালী, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সৈয়দ ইমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ, মীর সরাফত আলী সপু, শামীমুর রহমান, কামরুজ্জামান রতন, নবী উল্লাহ নবী, এসএম জাহাঙ্গীরসহ ঢাকা মহানগরের নেতৃবৃন্দ এ সময়ে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন
নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের বিশেষায়িত হাসপাতাল মেমোরিয়াল স্লোয়ান ক্যাটারিং ক্যান্সার সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাতে মারা যান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খোকা। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।
সোমবার নিউ ইয়র্কে কুইন্সের জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে খোকার জানাজা হয়। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতা-কর্মীরা ছাড়াও প্রবাসীদের অনেকেই সেখানে জানাজায় অংশ নেন।
তারপর সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য এই মুক্তিযোদ্ধার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে বেলা ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত।
শহীদ মিনার থেকে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেওয়া হবে খোকার কফিন। জোহরের পর সেখানে আরেক দফা জানাজা হবে তার।
এরপর ঢাকার সাবেক এই মেয়রের কফিন নেওয়া হবে দক্ষিণ সিটির নগর ভবনে। সেখানেও একটি জানাজা হবে। তার মৃত্যুতে বৃহস্পতিবার পূর্ণ দিবস ছুটি ঘোষণা করেছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।
নগর ভবনে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এই বিএনপি নেতার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে পুরান ঢাকার গোপীবাগে তার পৈত্রিক নিবাসে।
আসরের পর বালুর মাঠে হবে সর্বশেষ জানাজা। এরপর জুরাইন কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে সমাহিত হবেন একাত্তরের গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা।