বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয় হকার্স লীগের ২০তম প্রতিষ্ঠবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তার এমন বক্তব্য আসে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, “ফুটপাত দখল করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা কোনভাবেই কাম্য নয়। আমাদের হকাররা সেরকম জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে না। যেভাবে তাদের উচ্ছেদ করা হয়, এভাবে উচ্ছেদ না করে তাদেরকে পুনর্বাসনের সুযোগ দিতে হবে।”
তিনি বলেন, “সিটি করপোরেশনের মার্কেটে হকারদের বরাদ্দ পাওয়ার অধিকার ক্ষুণ্ন করে বড় অংকের টাকা দিয়ে দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়। যার কারণে হকাররা দোকান বরাদ্দ পান না। তাছাড়া সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের বড় উৎকোচ দিয়ে দোকান বরাদ্দ নিচ্ছে অনেকে। পুনর্বাসন এবং হলিডে মার্কেট পাওয়া হকারদের অধিকার। এ দাবির প্রতি আমি একাত্মতা ঘোষণা করছি।”
কামরুল ইসলামের সঙ্গে সহমত জানিয়ে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান বলেন, “হকারদের পুনর্বাসনের জন্য গুলিস্তান, ফুলবাড়িয়াসহ বহু এলাকায় কত যে দালান হল, তার ইয়ত্তা নেই। রেলের জায়গাও দেওয়া হয়েছিল হকারদের পুনর্বাসনের জন্য। কিন্তু তাদের পুনর্বাসন এখনও হয়নি।”
“এরপরও দেখা যায় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মার্কেট, সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেট, রেলের জায়গায় গড়ে ওঠা মার্কেটগুলো হকারদের পুনর্বাসনের জন্য গড়ে উঠলেও, হকাররা এখনও পুনর্বাসিত হয়নি। তাহলে এ মার্কেটগুলোকে বরাদ্দ পেয়েছে কারা? পুনর্বাসিত হল কারা?”
জাতীয় হকার্স লীগের নেতাদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আপনাদের পাঁচ দফা দাবির সঙ্গে আমি একমত। আমরা হকারদের স্থায়ীভাবে পুনর্বাসনের চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু দুঃখ হল, ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আপনাদের... এই সময়ে অনেক মার্কেট হয়েছে, সে সময় আপনারা কোথায় ছিলেন? কী করেছেন? নেতাগিরি করতে গিয়ে দুইটা দোকান বরাদ্দ পেয়ে খুশি হয়ে বসে ছিলেন নিশ্চয়ই!”
হকারদের এ সংগঠনের পাঁচ দফা দাবি হল- সিটি করপোরেশন থেকে হকারদের পরিচয়পত্র দেওয়া, নির্দিষ্ট স্থানে হকার্স মার্কেট নির্মাণ ও হকারদের দোকান বরাদ্দ দেওয়া, হকারদের পুনর্বাসনের জন্য চাকরি দেওয়া, হলিডে মার্কেট তৈরি এবং ঢাকা মহানগরের সব হকারকে এক করে সিটি করপোরেশনের আওতায় এনে সরকারি ডিসিআরের মাধ্যমে ট্যাক্স আদায় করা।”
অন্যদের মধ্যে হকার্স লীগের সম্পাদক মো. আরিফ, ঢাকা মহানগরের সভাপতি জামাল হোসেন নূর এবং সাধারণ সম্পাদক গাজী আফজাল হোসেন সমাবেশে বক্তব্য দেন।