শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজী পুকুরপাড়ের বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান বলেন, “বিএনপির পক্ষ থেকে সব সময়েই বেগম খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসা নিবেন না এটি বলা হচ্ছিল। একটি বিশেষ হাসপাতালের কথা তাদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল।
“এখন বেগম খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসা যে নিতে চান না সেই পরিকল্পনারই এটি কোনো অংশ কি না সেটি বরং খুঁজে বের করা দরকার।”
তিনি বলেন, “এটি পাওয়া যাওয়াতে বরং আমরা উদ্বিগ্ন। রিজভী আহমেদও উদ্বিগ্ন হওয়ার কী কারণ আমরা জানি না। বরং আমরা বেশি উদ্বিগ্ন।
“এই পেট্রোল বোমার সাথে রিজভী আহমেদরাই বেশি পরিচিত। তাদের কর্মীরাই এ ধরনের পেট্রোল বোমা ২০১৩ সালে, ১৪ সালে, ১৫ সালে মানুষের উপর নিক্ষেপ করেছে। শত শত মানুষকে হত্যা করেছে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। হাজার হাজার মানুষকে ঝলসে দিয়েছে।”
তিনি বলেন, “হাজার হাজার বাস ট্রাক তারা পুড়িয়েছে। ঘুমন্ত মানুষের উপর পেট্রোল বোমা মেরেছে। এগুলোর সাথে খুব ভালো পরিচিত তারা। এ কারণে আমরা বেশি উদ্বিগ্ন।
“এটা তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন, আসলে এগুলো কারা রেখেছিল। বেগম খালেদা জিয়াকে তারা সেখানে রাখতে চান না। তারা সব সময় বলে আসছেন ইউনাইটেড হাসপাতাল কিংবা অন্য কোনো বেসরকারি হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা দিতে হবে। এখন সেখানে পেট্টোলবোমা সদৃশ্য জিনিস পাওয়ার পেছনে সেটির কোনো সংযোগ আছে কি না তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন।”
দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ১ এপ্রিল থেকে বিএসএমএমইউয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। গত বৃহস্পতিবার ভোরে এর প্রশাসনিক ভবনের তৃতীয় তলায় রেজিস্ট্রারের কক্ষের সামনে থেকে একটি পেট্রোল বোমা উদ্ধারের কথা জানায় শাহবাগ থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “বিএসএমএমইউতে যেখানে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে, সেখানে পেট্রোল বোমা গেল কেমন করে?
“এখানে যদি উপরের মহলের পৃষ্ঠপোষকতা না থাকে বা কোনো ধরনের একটা নীলনকশা না থাকে, তাহলে এটা হওয়ার কথা নয়। এটা জনগণই আশঙ্কা করছে।”
কারাবন্দি খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদের দিন বিএনপি নেতাদের দেখা করতে না দেওয়ায় জেল কোড লংঘনের যে অভিযোগ করা হয়েছে তাও নাকচ করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “নিজের মতো ব্যাখ্যা না দিয়ে মির্জা ফখরুলের উচিৎ ছিল জেল কোড ভালো করে পড়ে নেওয়া।
“জেল কোডে বলা আছে, উৎসবের দিনে আত্মীয় স্বজন ও বন্ধুবান্ধবকে দেখা করতে দিতে হবে। মির্জা ফখরুলসহ দলের ঊর্ধ্বতন নেতারা খালেদা জিয়ার বন্ধুবান্ধব নন, তারা হলেন রাজনৈতিক নেতা বা সহকর্মী। এখানে জেল কোডের কোনো লংঘন হয়নি।”