মঙ্গলবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “সোনাগাজীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাতকে নিপীড়ন চালিয়ে তার মুখ বন্ধ করতে গায়ে আগুন দিয়ে বর্বর কায়দায় হত্যার ঘটনায় সেখানকার আওয়ামী লীগের মিডনাইট এমপি, আওয়ামী লীগের স্থানীয় সভাপতি থেকে শুরু করে বড় বড় নেতারা জড়িত।
“তাদের সাথে সহযোগিতা করেছে এসপি থেকে থানার ওসি পর্যন্ত। ফলে তাদের এমপি-নেতা ও পুলিশ প্রশাসনকে জনরোষ থেকে বাঁচানোর জন্য ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার।”
দেশের নারী নির্যাতনে রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে দাবি করে রিজভী বলেন, “সারাদেশে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা ধর্ষণ-নারী নির্যাতন-খুন-দখল ও গুমের উৎসবে মেতে উঠেছে। নারীর প্রতি সহিংসতা এখন ইতিহাসে সর্বকালের সর্ব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। নারী নিপীড়ন ও খুন তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। ১৯৭২-৭৫ এর চাইতেও এখন দেশের অবস্থা ভয়াবহ।”
বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার অবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আপসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় জোর করে বন্দি রেখে বিনা চিকিৎসায় প্রাণনাশের চেষ্টা চলছে। তাকে পিজি হাসপাতালে রাখাও হলেও উপযুক্ত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। শেখ হাসিনার নির্দেশ মতোই তাকে কষ্ট দেওয়া হচ্ছে।
“আমরা আবারও দাবি করছি, অবিলম্বে দেশনেত্রীকে মুক্তি দিতে হবে। জামিনে প্রতিবন্ধকতা করা চলবে না। তিনি মুক্তি পেয়ে নিজের পছন্দমতো হাসপাতালে চিকিৎসা নেবেন।”
কারাবন্দি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর গুরুতর অসুস্থ উল্লেখ করে রিজভী বলেন, “লুৎফুজ্জামান বাবর সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে ভীষণ অসু্স্থ। কয়েকদিন আগে তাকে চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলেও যথাযথ চিকিসা না দিয়ে পুনরায় কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়। এটা অমানবিকতা ছাড়া আর কিছুই নয়। আমি অবিলম্বে শারীরিকভাবে চরম অসুস্থ লুৎফুজ্জামান বাবরকে সুচিকিৎসা দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।”
গুরুতর অসুস্থ যুবদলের কারাবন্দি সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুর সুচিকিৎসাসহ বন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিও জানান জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব।
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য নাজমুল হক নান্নু, অধ্যাপিকা সাহিদা রফিক, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, মুনির হোসেন, আবদুল আউয়াল খান, আবদুল বারী ড্যানি, রফিক হাওলাদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।