তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ছাত্রলীগের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন।
তিন দশক পর অনুষ্ঠেয় ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের অংশগ্রহণ নিয়ে দেখভালে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে যে চারজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাদের একজন নানক। অন্য তিনজন হলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও কেন্দ্রীয় সদস্য ডাকসুর সাবেক ভিপি আখতারুজ্জামান।
ছাত্রদল বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে দেখা করে ক্যাম্পাসে সব সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে নির্বাচন পেছানোর দাবি জানিয়েছে।
ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে বৈঠকে নানক বলেন, “ডাকসুর নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্যনেল নিরঙ্কুশ বিজয় পাবে, এটা আমাদের আশা। শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখতে ডাকসুর আগামীর ১১ মার্চের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক এটাই আমরা চাই। যদিও এই নির্বাচনে ভণ্ডুল করার জন্য বিভিন্ন ধরনের অপতৎপরতা শুরু হয়েছে।
“আজকে ছাত্রদলের নেতারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। সেখানে তারা এই নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার দাবি করেছে। এই নির্বাচনকে মানুষের প্রশ্নবিদ্ধ করতে তারা বয়সসীমা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।
“যেই মুহুর্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সকল সিদ্ধান্ত নিয়ে, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। সেই মূহুর্তে হঠাৎ ছাত্রদলের তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার দাবি নির্বাচনকে আতঙ্কের মধ্যে ফেলে দেওয়া বলে আমরা মনে করি। তারা এই নির্বাচনকে ভণ্ডুল করতে, এই নির্বাচন যাতে না হতে পারে সেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বলে আমরা মনে করি।”
ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর সঞ্চালনায় এই সভায় নানক, রহমান, নাছিম ও আখতারুজ্জামানও বক্তব্য রাখেন।