মঙ্গলবার বিকালে বারিধারায় নিজের বাড়িতে এক অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক বি চৌধুরী।
তিনি বলেন, “এবারের নির্বাচনে বিএনপির মহাপরাজয় হয়েছে। তাদের দলের শৃঙ্খলা ভেঙে গেছে।”
বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন মহাসচিব বি চৌধুরী দলটির সভাপতিমণ্ডলীতেও ছিলেন। টানা পাঁচবার বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে মুন্সীগঞ্জ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে সামলেছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।
২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত সরকার গঠনের পর রাষ্ট্রপতি করা হয়েছিল বি চৌধুরীকে। তবে দলের সঙ্গে দ্বন্দ্বে এক বছর পরই ওই পদ ছাড়তে হয়েছিল তাকে।
পরে গড়ে তোলেন রাজনতিক দল বিকল্প ধারা। এবার নির্বাচনের আগে এতদিনের পথ বদলে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটে যোগ দেন তিনি।
এক সময় আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে আসা ৮৪ বছর বয়সী এই রাজনীতিক এখন মনে করেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে ‘উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা পাবে।”
মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের পথে উন্নয়ন, গণতন্ত্র, রাজনীতি ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার রাজনীতিকে নিয়ে আমরা ভবিষ্যতে শান্তিপূর্ণ একটি অগ্রগামী বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি।”
টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে বি চৌধুরী বলেন, “উন্নয়নের সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে দুর্নীতি এবং সন্ত্রাস। সে জন্য দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসকে রুখে দিতে হবে।
“শুধু বাহ্যিক উন্নয়নই যথেষ্ট নয়। একাধারে উন্নয়ন অন্যদিকে সর্বক্ষেত্রে গণতন্ত্রও প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
মঙ্গলবার বিকালের এই অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের কমিউনিটি লিডার তাসনিমা মান্নান সানিয়া বিকল্প ধারায় যোগ দেন। তিনি বিকল্পধারার মহাসচিব আবদুল মান্নানের মেয়ে।