মঙ্গলবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে নিজের মনোনয়নপত্র দাখিলের পর ফেনীতে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের একথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
জাতীয় পার্টির মনোনয়নের চিঠি বিতরণের মধ্যে সোমবার ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি হন দলটির চেয়ারম্যান এরশাদ। তবে তার অসুস্থতা নিয়ে দলের কোনো নেতা মুখ খোলেননি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এরশাদ ‘রাজনৈতিকভাবে অসুস্থ নয়, সত্যিকারভাবেই তিনি অসুস্থ’। তাকে দুই-এক দিনের মধ্যে সিঙ্গাপুর হাসপাতালে নেওয়া হতে পারে।
২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে এরশাদ নাটকীয় অসুস্থতা নিয়ে সিএমএইচে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে ভর্তি থাকা অবস্থায়ই নির্বাচিত হন তিনি। পরে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত করা হয় তাকে।
এবার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর একবার সিএমএইচে ভর্তি হয়েছিলেন এরশাদ, থেকেছেন একদিন। তা নিয়েও গুঞ্জন ছড়ালে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়, ওটা ছিল ‘রুটিন চেকআপ’।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “এরশাদের ৯০/৯২ বছর বয়স হয়েছে। তিনি অসুস্থ হতেই পারেন, এখানে হাসাহাসির কিছু নেই। যে কেউ যে কোনো সময় অসুস্থ হতে পারে।”
গতবার ভোটের পর এরশাদ বলেছিলেন, হাসপাতালে থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে ‘সময় হলে’ সব কথা বলবেন তিনি। কিন্তু চার বছরেও তার মুখ থেকে কিছু বের হয়নি।
বিএনপি নির্বাচনে আসায় জাতীয় পার্টি এবার আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট বেঁধে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিলেও আসন ভাগাভাগি নিয়ে তাদের সমঝোতা চূড়ান্ত হয়নি।
বিএনপিকে নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “জনবিচ্ছিন্ন, দলছুট নেতারা ঐক্যফ্রন্টে যেতেই পারে। এতে আওয়ামী লীগ বা মহাজোটের কোনো সমস্যা নেই।
“তারা নেতায় নেতায় ঐক্য করছে, এতে জনগণের কিছু আসে যায় না। নির্বাচনে তেমন কোনো প্রভাবও পড়বে না।”
খালেদা জিয়ার নির্বাচন আটকে যাওয়া সংক্রান্ত হাই কোর্টের আদেশ নিয়ে কাদের বলেন, “এটা আদালতের বিষয়, এখানে সরকার ও আওয়ামী লীগের কিছুই করার নেই।”
মতবিনিময়কালে ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রহমান বিকম, সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী, মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও সংরক্ষিত মহিলা সাংসদ জাহান আবার বেগম সুরমা, জেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শুশেন চন্দ্র শীল, ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান মেসবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল উপস্থিত ছিলেন।