শুক্রবার পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে গিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন তার চার আইনজীবী।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জমিরউদ্দিন সরকারের নেতৃত্বে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কারাগারে যান জয়নাল আবেদীন, এজে মোহাম্মদ আলী ও আবদুর রেজ্জাক খান।
এক ঘণ্টা পর কারাগার থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন, জানান তার শারীরিক অবস্থা।
তিনি বলেন, “আমরা বিএনপি চেয়ারপারসনের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। ভালোভাবে কথা বলতে পারছেন না। প্রচণ্ড ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন। দ্রুত তাকে বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানো প্রয়োজন।
“উনার অবস্থা এমন খারাপ যে তার পক্ষে কোর্টে যাওয়াও সম্ভবপর হবে না।”
কারাগারে বসানো আদালতের শুনানিতে না গেলেও দুইদিন পর একই জায়গায় গিয়ে বিএনপিপ্রধানের সঙ্গে দেখা করলেন তার আইনজীবীরা।
বিএনপির প্রতিবাদ-সমালোচনার মধ্যে গত বুধবার নাজিমউদ্দিন রোডের এই কারাগারের ভেতরে বিশেষ জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাস বসিয়ে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা বিচারের ব্যবস্থা করা হয়।
শুনানিতে খালেদা জিয়াসহ মামলার তিন আসামিকে হাজির করা হলেও যাননি আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী।
এ ব্যবস্থায় সেদিন উষ্মা প্রকাশ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বিচারকের উদ্দেশে বলেছিলেন, “আপনার যতদিন ইচ্ছা সাজা দিন, আমি এ অবস্থায় বারবার আসতে পারব না। এই আদালতে ন্যায়বিচারও হবে না।”
নিজের শারীরিক অসুস্থতার কথাও জানিয়েছিলেন খালেদা জিয়া।
নিজের শারীরিক অবস্থা ভালো নয় জানিয়ে ৭৩ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ বলেন, “আমার বাঁ পা ঠিকমত রাখতে পারি না, প্যারালাইজড হয়ে যাওয়ার মত। বাঁ হাতেও অনেক ব্যথা।”
সবশেষ ঈদুল আজহার পর গত ২৫ অগাস্ট দলীয়প্রধানের সঙ্গে দেখা করেছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।