খালেদার এখনকার চিকিৎসাই চলবে: চিকিৎসক

কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে যে চিকিৎসায় যে ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হয়েছে, তাই চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 April 2018, 12:41 PM
Updated : 10 April 2018, 12:41 PM

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক বিভিন্ন পরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর বোর্ডের প্রধান ও  ঢাকা মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শামসুজ্জামান শাহীন একথা জানিয়েছেন।

তিনি মঙ্গলবার বিকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রিপোর্ট আমাদের হাতে পৌঁছেছে। তার কোমরে, পায়ে ও হাতে কিছুটা সমস্যা ছিল ও আছে। আর বাম হাতের ব্যথার কারণে ঘাড়েও ব্যথা।

“তবে যে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, সেটাই চলবে। আর কিছু ব্যয়ামও দেওয়া হয়েছিল। দেখা যাক কী হয়?”

পায়ে ব্যথার জন্য খালেদাকে যে ওষুধ দেওয়া হয়েছিল, তাতে উন্নতি না হলে ‘রিভিউ’ করা হবে বলে জানান এই চিকিৎসক।

ঘাড়ে যে ব্যথা তা বাম হাতের ব্যথার কারণে হচ্ছে বলে জানান অর্থোপেডিকের এই অধ্যাপক।

তিনি জানান, খালেদার রক্তের পরীক্ষায় কোনো সংক্রমণ বা কোনো সমস্যা ধরা পড়েনি।

দুই মাস ধরে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জন্য গঠিত এই মেডিকেল বোর্ডে সদস্য রয়েছেন ঢাকা মেডিকেলের তিন চিকিৎসক ডা. মনসুর হাবীব (নিউরোলজি), টিটু মিয়া (মেডিসিন) ও সোহেলী রহমান (ফিজিক্যাল মেডিসিন)।

ঢাকার বিএসএমএমইউতে খালেদা জিয়া; স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শনিবার তাকে কারাগার থেকে হাসপাতালে নেওয়া হয়

তাদের পরামর্শে গত শনিবার বিএসএমএমইউতে নিয়ে খালেদার এক্স রে করা হয়। সেখানে আরও তিনজন চিকিৎসক দেখেন তাকে।

খালেদার ব্যক্তিগত চিকিৎসক হদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ মামুন, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এফ এম সিদ্দিকী ও নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ওয়াহিদুর রহমান।

তবে বিএনপি সমর্থক চিকিৎসকরা খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে অসন্তোষ জানিয়ে আসছে। তারা তাকে মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসার দাবি জানিয়েছে।

জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত খালেদা জিয়া আপিল করে জামিনের আবেদন জানালেও সেই বিষয়ে আদালতের আদেশ মে মাসে হবে। ফলে তার আগে তার মুক্তির কোনো সম্ভাবনা নেই।