খালেদাকে হাসিনার সেই প্রস্তাব আবার চান বি চৌধুরী

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে মতবিরোধ নিরসনে গত নির্বাচনের আগে ‘সর্বদলীয় সরকার’ গঠনের যে প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে দিয়েছিলেন, তা আবারও চাইছেন বিকল্পধারা সভাপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Oct 2017, 01:12 PM
Updated : 10 Oct 2017, 01:30 PM

তবে ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জনের মধ্য দিয়ে সংসদের বাইরে আসা বিএনপি ও তার সমমনাদের এই সরকারে রাখার জন্য নবম সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোকে নিয়ে ওই সরকারের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বি চৌধুরী বলেন, “চলতি সরকারের বৈধতা রয়েছে কি না তা ফান্ডামেন্টাল প্রশ্ন, যেহেতু অনেক জায়গায় নির্বাচন হয়নি। এর আগের যে সরকার ছিল সেটা গ্রহণযোগ্য। গতবারের নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রস্তাব দিয়েছিলেন খালেদা জিয়াকে। টেলিফোনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আপনি হোম মিনিস্ট্রি নেন, জনপ্রশাসন নেন। আরও একটি মন্ত্রণালয়ের কথা বলেছিলেন।

“সেই পার্লামেন্টের সদস্যদের নিয়ে, নবম সংসদের সদস্যদের নিয়ে সর্বদলীয় সরকার গঠন করা যেতে পারে। যে তিনটি মন্ত্রণালয়ের কথা বলেছিল সেগুলো যদি নবম সংসদের প্রধান বিরোধী দলকে দেওয়া হয় তাহলে নবম সংসদের প্রতিনিধি নিয়ে যে সরকার গঠন করা হবে সেটা প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার হবে।”

বি চৌধুরী এই প্রস্তাব দিলেও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বর্তমান সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোর সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়ে এসেছেন সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব বি চৌধুরী চারদলীয় জোট সরকার আমলে আলাদা দল বিকল্প ধারা বাংলাদেশ গড়ে তুলেছিলেন। বিএনপির অংশগ্রহণে নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বললেও এই প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনে দেননি বলে জানান তিনি।

“এটা তাদের এখতিয়ারে নেই, এটা সরকার করতে পারে,” বলেন তিনি।

সকালে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বসে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে নির্বাচন কমিশনার, ভারপ্রাপ্ত সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা সংলাপে অংশ নেন।

বৈঠকে ফের সীমানা পুনর্নির্ধারণ না করা, বিচারিক ক্ষমতা ছাড়া সেনা মোতায়েন, না ভোট চালুসহ ১৩ দফা সুপারিশ করে বিকল্পধারা।

সেনা মোতায়েন নিয়ে দলীয় অবস্থান তুলে ধরে বি চৌধুরী বলেন, “নির্বাচনের এক মাস আগে সেনাবাহিনীকে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত রাখতে হবে। তবে বিচারিক ক্ষমতা সেনাবহিনীর প্রয়োজন নেই।”

সংসদীয় এলাকার সীমানা নিয়ে তিনি বলেন, প্রতিবারই জাতীয় নির্বাচনের আগে কিছু কিছু সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। এতে বিভিন্ন বিতর্ক এবং জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

“এ মুহূর্ত থেকে আর কোনো সীমানা পুনর্নির্ধারণের প্রয়োজন নেই।”

নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ ছুঁয়ে শপথ করানোর প্রস্তাব দিয়েছে বিকল্প ধারা।

“প্রত্যেক নির্বাচনী কেন্দ্রে যারা দায়িত্ব পালন করবেন- ইউএনও ,ওসি, প্রিসাইডিং অফিসার, সেনাবাহিনীর সদস্য তারা জনসমক্ষে প্রকাশ্যে পবিত্র কোরআন/গীতা/বাইবেল ও ত্রিপিটক ছুঁয়ে নিরপেক্ষতা ও আন্তরিকতার শপথ নেবেন,” বলা হয়েছে তাদের প্রস্তাবে।

না ভোট চালুরও সুপারিশও করেছে দলটি।