বাসে পেট্রোল বোমা: খালেদাকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে দুই বছর আগে বাসে পেট্রোল বোমা মেরে আটজনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় বিস্ফোরক আইনের মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ‘পলাতক’ আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

কুমিল্লা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Oct 2017, 07:27 AM
Updated : 9 Oct 2017, 06:27 PM

এ মামলায় ৭৮ জনকে আসামি করে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করে কুমিল্লার জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগম সোমবার এই আদেশ দেন বলে পিপি মোস্তাফিজুর রহমান লিটন জানান।

তিনি বলেন, “খালেদা জিয়াসহ পলাতকদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ হয়েছে। মামলার পরবর্তী তারিখ আদালত পরে জানিয়ে দেবে।”

দশম সংসদ নির্বাচনের বছরপূর্তিতে ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি সমাবেশ করতে বাধা পেয়ে দলীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধ অবস্থায় থেকে সারাদেশে লাগাতার অবরোধ ডাকেন খালেদা জিয়া।

সেই অবরোধের সঙ্গে হরতাল চলে টানা ৯০ দিন। ওই কর্মসূচিতে বহু গাড়ি পোড়ানো হয়, অগ্নিসংযোগ হয় বিভিন্ন স্থাপনায়। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায় শতাধিক মানুষ।

তখন নাশকতার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অসংখ্য মামলা করে। তার মধ্যে বেশ কয়েকটিতে খালেদাকে হুকুমের আসামি করা হয়; কুমিল্লার এই মামলা তারই একটি।

২০১৫ এর ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুরে কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী আইকন পরিবহনের একটি বাসে পেট্রোল বোমা হামলা হলে দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আটজনের।

চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই নুরুজ্জামান হাওলাদার পরদিন বিএনপি-জামায়াতের ৫৬ জনের নাম উল্লেখ করে, আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি দেখিয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা করেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সেখানে হুকুমের আসামি করা হয়।

তদন্ত শেষে চলতি বছরের ৬ মার্চ কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে বিস্ফোরক মামলায় অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। সেখানে খালেদা জিয়াসহ মোট ৭৮ জনকে আসামি করা হয়। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া, এম কে আনোয়ার, ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সালাউদ্দিন আহমেদ এবং জামায়াতের সাবেক সাংসদ সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহেরও এ মামলার আসামি।

এদিকে বিএনপিনেত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার খবরে জেলা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে।