তা না হলে ধনীদের ঈদ ‘হারাম’ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে হকার উচ্ছেদ বন্ধের দাবিতে সমাবেশে দুই মেয়রের উদ্দেশে সেলিম বলেন, “রোজা শুরু হওয়ার আগেই আপনারা ঘোষণা করেন যে, রোজা ও ঈদ সামনে রেখে হকারদের পুরানো নিয়ম বহাল থাকবে, কোনো হকারের উপরে কোনো হস্তক্ষেপ করা চলবে না। আর এই সময়ের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে আপনারা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের ব্যবস্থা করেন।”
তিনি বলেন, “আগের নিয়ম বাতিল করা চলবে না। বিশেষ করে, কয়েক দিন পর রোজা শুরু হবে, তারপর ঈদ আসছে, ঈদের সময় ক্রেতা অনেক বেড়ে যায়, ওই সময় বেচাবিক্রি অনেক বেশি থাকে। শুধু হকারদের ঈদ না, গ্রামের দরিদ্র মানুষ ঈদে ঢাকা থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় তাদের স্বজনদের জন্য কেনাকাটা করে থাকে। ঈদের আনন্দকে নষ্ট করার চেষ্টা করবেন না, তাহলে বড়লোকদের ঈদকে আমরা হারাম করে দেব।”
রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট লেগে থাকার জন্য হকাররা দায়ী নয় দাবি করে তিনি বলেন, “ভিআইপিদের জন্য রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ এবং কিছু এমপি উল্টোপথে গাড়ি চালিয়ে যানজট সৃষ্টি করেন।
“এসব বেআইনি গাড়ি চলাচল বন্ধ করলে যানজট থাকবে না। হকারদের যতটুকু বিশৃঙ্খলা আছে তা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। আমরা বার বার বলেছি, হকারদের যদি স্থায়ীভাবে দোকানের বন্দোবস্ত করা হয় তাহলে তারা ফুটপাতে ব্যবসা না করে সেই দোকানে উঠে যেতে তারা সম্পূর্ণভাবে তৈরি আছে। তাই পুনর্বাসনের কর্মসূচি গ্রহণ করা প্রয়োজন।”
বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের আয়োজনে সমাবেশে হকারদের বিভিন্ন দাবির পক্ষে একাত্মতা ঘোষণা করেন তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব ও সংসদ সদস্য এম এ আউয়াল।