সুন্দরবন রক্ষায় বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ থেকে সরে না এলে রাজনীতির গতি পাল্টে যেতে পারে বলে প্রধানমন্ত্রীকে সতর্ক করে দিয়েছে সিপিবি ও বাসদ।
Published : 20 Aug 2016, 02:03 PM
ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শনিবার তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির অবস্থান কর্মসূচিতে দুই বামপন্থি দলের শীর্ষ নেতারা একই সুরে কথা বলেন।
কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, “রামপালে এই কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। যে আন্দোলনের জাগরণ সারা দেশব্যাপী আমরা সূচনা করেছি, সেটা স্তব্ধ হবে না। সেই আগুনে রাজনীতির পরিণতি কী হবে, সেটা সরকারকে ভেবে দেখার অনুরোধ করছি।
“রাজনীতিতে পরিবর্তন এনে হলেও আমরা সুন্দরবনকে রক্ষা করার সংগ্রাম অব্যাহত রাখব। প্রধানমন্ত্রী আপনি এটা জেনে রাখবেন।”
সুন্দরবনকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষার সংগ্রামে দল-মত নির্বিশেষ সকলকে আন্দোলনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে এই বাম নেতা বলেন, “আগামী দিনের রাজনীতি কোন পথে যাবে আমি জানি না। দেশবাসী চূড়ান্তভাবে সেই সিদ্ধান্ত নেবে, একদিন না একদিন দেশে বামপন্থিদের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
“কিন্তু আমরাও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, আমরা ক্ষমতাসীন হওয়ার আগে যদি সুন্দরবন ধ্বংস করে দেওয়া হয়, তাহলে দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে তাদের সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার কাজে আরও কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হব।”
বাসদের একাংশের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেন, “একদিকে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলবেন, অন্যদিকে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করবেন- এটা বন্ধ করেন। অতীতের আন্দোলনের কথা স্মরণ করে এই প্রকল্প থেকে সরে আসেন। তা না হলে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।
“এরপর বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। সেই আন্দোলনে রাজনৈতিক অবস্থার গতি পরিবর্তনও ঘটে যেতে পারে। সে বিষয়টা মাথায় রাখবেন।”
এসময় অন্যদের মধ্যে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ উপস্থিত ছিলেন।
সকালে শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে মুক্ত ক্যানভাস উদ্বোধন করেন কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মো. শহীদুল্লাহ।
অবস্থানে প্রতিবাদী গান, নাটিকা, মুক্ত ক্যানভাসে ছবি আঁকাসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আয়োজনের ফাঁকে ফাঁকে চলে বক্তৃতা।