১১ অগাস্ট যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে মারা যান সিরাজুল ইসলাম। তার মরদেহে দেশে আনার পর ১৮ অগাস্ট ঢাকার বনানীতে দাফন করা হয়।
Published : 23 Aug 2024, 07:09 PM
সাবেক রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলামকে স্মরণ করেছেন শিক্ষাবিদ, রাজনীতি, কূটনীতিকসহ তার শুভাকাঙ্ক্ষিরা।
শুক্রবার বিকালে মহাখালীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে এক স্মরণ সভায় সিরাজুল ইসলামের জীবন-কর্মের নানা দিক তুলে ধরে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
দি ঢাকা ফোরাম-টিডিএফ নামে একটি সংগঠন এই স্মরণ সভার আয়োজন করে।
এতে কূটনীতিক ইসলামের কর্মজীবন নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন।
স্মরণ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বিএনপি নেতা অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, মিজানুর রহমান মিনু, আবদুল হালিম, আবদুল কাইয়ুম, নজমুল হক নান্নু, সুজা উদ্দিন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নূর মোহাম্মদ খান, জহির উদ্দিন স্বপন, শ্যামা ওবায়েদ, আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, সাবেক কুটনীতিক ইফতেখার করীম, শাহেদ আখতার এবং অবসরপ্রাপ্ত কুটনীতিকদের অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
স্মরণানুষ্ঠানে সিরাজুল ইসলামের সহধর্মিণী নাসরিন ফোজিয়া, দুই কণ্যা মৌসুমী ইসলাম সাবরিনা ও নওরিনসহ স্বজনরা অংশ নেন।
১১ অগাস্ট যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে মারা যান সিরাজুল ইসলাম। তার মরদেহে দেশে আনার পর ১৮ অগাস্ট ঢাকার বনানীতে দাফন করা হয়।
পাকিস্তান ফরেন সার্ভিসে যোগ দিয়ে সিরাজুল ইসলাম কুটনীতিক পেশায় কাজ শুরু করেন। কর্মজীবনে ক্যানবেরা, নয়াদিল্লি, ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ে বাংলাদেশ মিশনে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি মিশর ও জাপানেও দায়িত্ব পালন করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দক্ষিণ এশিয়া ও সুদূর প্রাচ্য ডেস্কের মহাপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেওয়ার আগে তিনি ১৯৬৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মান ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পরে সেখানেই রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে লেকচারার হিসেবে যোগ দেন।
‘হলিডে’, ‘দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট’, ‘ডেইলি সান’ ও ‘ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস’ পত্রিকায় কলাম লিখতে সিরাজুল ইসলাম।