“তারা বলেছিল বাংলাদেশ থেকে সব সিন্ডিকেট উধাও হয়ে যাবে। অথচ আজকে বাজারে সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম লাগাম ছাড়া”, সমাবেশে বলেন জোনায়েদ সাকি।
Published : 09 Feb 2024, 07:05 PM
নিত্যপণ্যের দাম কেন সরকার কমাতে পারছে না- এই প্রশ্ন রেখে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলছেন, সরকারই বাজারে ‘সিন্ডিকেট’ তৈরি করে রেখেছে।
শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সমাবেশে নেতারা এসব কথা বলেন।
“দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও ‘অরক্ষিত’ সীমান্তের প্রতিবাদে” এই সমাবেশের পর বিক্ষোভ মিছিলও করেন নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “এই সরকার বাজারে বাজারে সিন্ডিকেট তৈরি করে রেখেছে। এসব সিন্ডিকেটে কোনো বিরোধী দলের লোক আছে? আমরা পুরো ব্যবস্থা বদলে দিতে চাই। কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চাই। আমাদের লড়াই স্বেচ্ছাচারী সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই।”
সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগও আনেন তিনি। বলেন, “ক্ষমতায় থাকার জন্য তারা ভোট নিয়ে, বাজেট নিয়ে, রিজার্ভ নিয়ে মিথ্যা কথা বলে।
“আপনারাই বললেন আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তাহলে টিসিবির ট্রাকের পেছনে বুভুক্ষু মানুষের লাইন থাকবে কেন? আপনারা সবকিছুতে মিথ্যা কথা বলেন।”
সভাপতির বক্তব্যে গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক এবং গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, “একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে, নিজেদের মধ্যে ক্ষমতায় ভাগাভাগি করে তারা ক্ষমতার নবায়ন করেছে। তারা বলেছিল বাংলাদেশ থেকে সব সিন্ডিকেট উধাও হয়ে যাবে। অথচ আজকে বাজারে সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম লাগাম ছাড়া।
“আন্তর্জাতিক বাজারে জিনিসপত্রের দাম, তেলের দাম কমছে। কিন্তু বাংলাদেশে কোনো কমতি নাই। আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে এখানে ধারাবাহিকভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে যাচ্ছে।”
ভারতীয় ‘আগ্রাসন’ চলছে দাবি করে তিনি বলেন, “ভারত আমাদের দেশের টাঙ্গাইল শাড়ি নিজেদের বলে দাবি করে। আর পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলে বলে তিনি বলেন, এটা একটা ক্ষুদ্র ইস্যু।
“বাংলাদেশের কোনো স্বার্থের প্রশ্ন তিনি তুলতে পারেন না। সীমান্তের আমাদের বিজিবি সদস্যকে হত্যা করা হল। প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে পারেন না। আমাদের দেশের নদীর পানি, বাণিজ্যিক স্বার্থসহ যে সমস্ত স্বার্থ আছে, সেগুলো তারা তুলতে পারেন না।”
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন কেন করা যাচ্ছে না, সে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, “এই সরকার ভারত ও চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বের কথা বলে। কিন্তু রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে তারা বন্ধুত্বের সম্পর্ক ব্যবহার করতে পারে নাই।”
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমম্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজুও সমাবেশে বক্তব্য দেন।