নতুন করে দেশ গড়ার সংগ্রামে ‘ঐক্যবদ্ধ হওয়ার’ আহ্বান জানিয়েছেন কামাল হোসেন।
Published : 30 Nov 2024, 03:59 PM
গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে যৌক্তিক সময় ও সার্বিক সহযোগিতা করা ‘রাজনৈতিক দল ও জনগণের নৈতিক দায়িত্ব’।
তিনি বলেন, “যাতে তারা সংস্কার কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হন।”
শনিবার রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে সপ্তম জাতীয় সম্মেলনে এ কথা বলেন কামাল হোসেন।
এসময় নতুন করে দেশ গড়ার সংগ্রামে ‘ঐক্যবদ্ধ হওয়ার’ আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ বলেন, ১৯৯৩ সালের ২৯ আগস্ট বাংলাদেশের বিরাজমান রুগ্ন রাজনীতির বিপরীতে সুস্থ ধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশের বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ, রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, কূটনীতিবিদ, আইনজীবী, পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবী ও প্রগতিশীল চিন্তা চেতনার সচেতন নাগরিকদের নিয়ে গণফোরামের জন্ম হয়েছিল।
“গণফোরামের নীতি, আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে ৩১ বছর আগে হাজার হাজার নেতা-কর্মী এই দলের পতাকা তলে সমবেত হয়ে সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন, মানবিক বাংলাদেশ গড়ার কাজে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছিল।
“গণফোরামের জন্মলগ্নে বিরাজমান যেসব সমস্যাবলী চিহ্নিত করে তা সমাধানের জন্য জাতির সামনে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিল, তা ৩১ বছর পর আরও তীব্র সংকটরূপে আবির্ভূত হয়েছে।“
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের উদ্দেশে কামাল হোসেন বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্রহীনতা ও জবাবদিহিতাহীন এক স্বৈরশাসনের কবলে পড়ে আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, ভোটাধিকার ও মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ অবাধে লুটপাট, অর্থপাচার, সর্বগ্রাসী দূর্নীতি ও দলীয়করণের মাধ্যমে দেশ শাসনের ফলে সর্বত্র ভয়াবহ সংকট ও অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়।
“এরই ফলশ্রুতিতে ছাত্র-জনতার এক অবিস্মরনীয় ও ঐতিহাসিক গণ-অভ্যূত্থানের মধ্যদিয়ে আওয়ামী সরকারের পতন ঘটে। এই দেশ কোনো স্বৈরশাসকের নয়, এই দেশ জনগণের।“
বর্তমান পরিস্থিতিতে গণফোরামের নেতা-কর্মীরা বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে এই জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে নতুন যাত্রা শুরু করবে বলে প্রত্যাশা করেন কামাল হোসেন।